শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে যে অনিশ্চয়তা আছে, সেগুলো আশাকরি খুব শিগগিরই কেটে যাবে। আমারা খুব শিগগিরই একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবো। এ মুহুর্তে যে ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার তাই নেয়া হবে। অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের উদ্বোগ উৎকণ্ঠা দূর হবে।
রোববার (২৭ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
করোনার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনায় শিক্ষার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার সক্ষমতা আমাদের আছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের ২০৪১ খ্র্রিষ্টাব্দের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার এসডিজি অর্জনে শিক্ষা প্রধানতম হাতিয়ার। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি কাজ জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সততা, নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতা নিয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে কাজ করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান।
দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং বিভাগের অধীন ১৫ দপ্তর ও সংস্থা প্রধান ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন। অন্যদিকে একই স্থানে দুপুর ২ টায় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং ঐ বিভাগের ৫ টি দপ্তর ও সংস্থা প্রধান ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তাছাড়া দুই বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার প্রধান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছিলেন।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, করোনার সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিছু আইন ও বিধি প্রণয়ন ও সংস্কার করেছে। করোনার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। শিক্ষা আইন চুড়ান্ত করা হয়েছে। অত্যন্ত সফলভাবে ৩৫ কোটি পাঠ্য পুস্তক শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এই জন্য তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব কর্মচারীদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, গত এক বছর করোনার কারণে আমাদের কার্যক্রমের গতি কিছুটা কম ছিল। কিন্তু আগামী এক বছরে সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজের গতি বৃদ্ধি করতে হবে।
কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের ভাল কাজের পুরস্কার হিসেবে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব ফজলুর রহমান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অফিস সহায়ক ইউসুফকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব রহিমা আক্তার, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ইউসুফ আলী এবং জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমির (নেকটার) পরিচালক মো. শাফিউল ইসলামকে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।