পিএইচডি ডিগ্রি কী অবদান রাখছে - দৈনিকশিক্ষা

পিএইচডি ডিগ্রি কী অবদান রাখছে

মাছুম বিল্লাহ |

আমাকে একদিন একজন সরকারি কলেজের অধ্যাপক বললেন,  আমাদের দেশের অনেক শিক্ষক এক আজব খেলায় মেতেছেন। সেটি হলো জোড়াতালি দিয়ে, বিভিন্ন শিক্ষাবিদদের কোটেশন কাটপেস্ট করে বড় একটি রচনা লিখে জমা দিয়ে এসে নিজেদের মনে করেন আলাদা কোনও এক গ্রহের বাসিন্দা। তারা মনে করেন, আমরা পিএইচডি করেছি, আমাদের ধারে কাছে আর কেউ নেই। উক্ত শিক্ষকের কথাটি একেবারে অমূলক নয়। আমি একবার একটি ওয়ার্কশপে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তার মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক যাকে আমি ‘ অধ্যাপক অমুক’ বলে চিঠিতে সম্বোধন করেছিলাম।

ওয়ার্কশপে এসে তিনি আমাকে বললেন, আপনি আমাকে ভালভাবে চেনেন। আমি বললাম, আপনার নাম আমি আপনার এক সহকর্মী যিনি আমার এক সময়ের সহকর্মী ছিলেন তার কাছ থেকে নিয়েছি। তখন উনি কিসে পিএইচডি করেছেন সে কথা বিস্তারিতভাবে বললেন। তার সার্বিক আলোচনা, কথাবার্তায় বুঝলাম, তিনি নিজেকে বিচার করতে পারছেন না। তার পিএইডি করা বিষয় অন্যদের অজানা। উনি পিএইচডির ডাটা কালেকশন করতে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়েছেন যেটি উনি বারবার রেফারেন্স দিচ্ছিলেন এই ভেবে বা মনে করে যে, এই ধরনের বাস্তব অভিজ্ঞতা অন্য কারুর নেই। একমাত্র যারা পিএইচডি করেন তাদের এই সুযোগটি আছে। বাস্তব শিক্ষা পদ্ধতি, ব্যবস্থা নিয়ে যারা কাজ করেন তারা যে অনেক পিএইচডি করা শিক্ষকের চেয়েও শত নয় হাজার গুণ বেশি দেখেছেন, জানেন, নিত্য নতুন সমস্যা নিয়ে ডিল করেন সেই বিষয়টি তারা বুঝেন না, বা বুঝতে চান না। পরে তার কিছু প্রস্তাবে বুঝলাম বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে তার ধারণা কম। যেমন বলছেন, সব বিদ্যালয়ে সরকার স্পোকেন ইংরেজি চালু করছেনা কেন? মাধ্যমিক পর্যায়ে ইংরেজি শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয় না বলেই ইংরেজির আজ এই হাল ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাস্তবতা সম্পর্কে তারা ধারণা কম। 

কয়েক দিন আগে দৈনিক শিক্ষাডটকম পত্রিকায় দেখলাম রাজধানী ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ও দুই শিক্ষক  পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন কিন্তু তদন্তে দেখা গেছে সেই পিএইচডি ভুয়া। মাউশি অধিদপ্তরের তদন্তেও সেটি প্রমাণিত হয়েছে। কোনও বিষয়ে পিএইচডি করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নতুন কিছু আবিষ্কার করা যা পূর্বে ছিল না এবং যে আবিষ্কারটি এ লাইনের মানুষের সরাসরি উপকার করবে। এটি বিজ্ঞানের যে কোনও শাখায় করাটা অধিকতর যুক্তিযুক্ত যা সমাজ, দেশ,জাতি ও বৃহত্তর মানব কল্যাণে ব্যবহার করা যায়। সমাজবিজ্ঞানেও এটি সমাজ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে। ইদানীং দেখা যাচ্ছে সব বিষয়েই অনেকেই  পিএইচডি ডিগ্রি নিচ্ছেন এবং বিশেষ করে কলা বিভাগের বিভিন্ন শাখায়। যিনি পিএইচডি নিচ্ছেন তিনি হয়তো পড়াশুনার মাঝে থেকে, নিজের উন্নয়ন কিছুটা ঘটাতে পারেন কিন্তু তার চারপাশের মানুষের কতোটা উপকার হয় সেটি প্রশ্ন সাপেক্ষ। গবেষণার ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করছি আমাদের কৃষিবিদগণ যেসব গবেষণা করছেন তার প্রত্যক্ষ ফল দেশ ও দেশবাসী উপভোগ করছেন। তাদের বলার দরকার নেই যে, তারা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন কিংবা করেননি। তাদের গবেষণার ফল ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সর্বত্র। ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে, বিভিন্ন ফল উৎপাদনের ক্ষেত্রে, শাক-সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে।  বাকী গবেষকদের গবেষণার ফল আমরা প্রত্যক্ষ করছি না, কোন উপকারও পাই না। তাদের গবেষণা শুধুই কাগজ কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ,  আর দুয়েকজনেরটা সীমাবদ্ধ সভা-সেমিনারের মধ্যেই । 

শিক্ষাক্ষেত্রে কত শত ধরনের সমস্যা বিরাজ করছে অথচ সে ধরনের বাস্তব কোন সমাধান কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এ বিষয়ে গবেষণার অন্ত নেই, পিএইচডি ডিগ্রিধারী বাড়ছেই কিন্তু শিক্ষার সমস্যাও ধাই ধাই করে বাড়ছে।

বর্তমানে শিক্ষার্থীরা পড়তে চাচ্ছেন না, বিজ্ঞান পড়ছেন না, বিদেশি ভাষা ইংরেজি বাস্তব জীবনে ব্যবহারের উপযোগী করে শিখছেন না। এসব বিষয়ে প্রকৃত গবেষণা দরকার, দরকার বাস্তবসম্মত সমাধান। তাছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে কোনও একটি বিষয় আবিষ্কার করা হলো কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর ভূমিকায় না থাকলে তার অনেকটাই বাস্তবায়ন করা যায় না। সেক্ষেত্রে কি করা? এগুলো হচ্ছে বর্তমানে শিক্ষার সমস্যা। যারা নীতি নির্ধারক, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী তাদের শিক্ষা নিয়ে রাজনৈতিক খেলা ছাড়া প্রকৃত অর্থে শিক্ষার উন্নয়নের চিন্তা করা ঘটে না। এখানে কি করা উচিত? এখানেও প্রকৃত গবেষণা প্রয়োজন, সেটিতো হচ্ছে না। শুধু পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সংখ্যা বাড়ছে, তার পজেটিভ কোনও প্রভাব আমাদের শিক্ষাক্ষেত্র কিংবা সমাজের কোথাও পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। 

ইংরেজির ক্ষেত্রে যদি আসি তাহলে আমরা দেখতে পাই প্রতিবছর বহু শিক্ষক এবং শিক্ষকের বাইরেও অনেকেই পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন, নিচ্ছেন।  কিন্তু ইংরেজির প্রকৃত অবস্থাটা কি? এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না যে, অবস্থা আগের চেয়ে অনেক করুণ হয়েছে। ইংরেজিতে শিক্ষার্থীদের পাসের হার শতভাগ ছুঁই ছুঁই কিন্তু এই শিক্ষার্থীদের শতকরা কতজন বাস্তব জীবনে স্কুল কলেজে শেখা ইংরেজি কাজে লাগাতে পারছেন? ব্যক্তি বা সামাজিক পর্যায়ে ইংরেজির কতটা উন্নতি হয়েছে? অবস্থা বরং আরও করুণ হয়েছে। উল্টোদিকে ইংরেজিতে পিএইচডি ডিগ্রি করা শিক্ষকের সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাহলে তারা সাধারণের জন্য, সমাজের জন্য, দেশের জন্য কতটা অবদান রাখলেন?

ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ  ও দুজন শিক্ষক করোনাতে সবকিছু বন্ধ থাকা অবস্থায় অনলাইনে কথিত আমেরিকান ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন বলে দাবি করেন।  অধ্যক্ষ ও একজন শিক্ষক আরও দাবি করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. জাহিদুল ইসলামের অধীনে তারা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কিন্তু ড. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, তার অধীনে আইডিয়াল কলেজের কোনও শিক্ষক কখনই পিএইচডি ডিগ্রি করেননি এবং আমেরিকান ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সাথে তার কোনও সম্পর্কও নেই। অনলাইনে তিনি কখনও পিএইচডি করাননি এবং আইডিয়ালের যে তিনজন শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে তাদের সঙ্গে তার কখনও দেখা হয়নি। অপর এক শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক আবুল হোসেনের অধীনে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন দাবি করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিভাগে আবুল হোসেন নামে কোন শিক্ষকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এই হচ্ছে আমাদের পিএইচডির অবস্থা। পিএইচডি যদি সঠিকভাবে করা হয় অর্থাৎ কাটপেস্ট না, নকল করে নয়, অন্যের পিএইচডির থিসিস নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া নয়, তাহলে তার যে জ্ঞানের উৎকর্ষটা ঘটে সেটি প্রকৃত গবেষণা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াতে তা অনেকটাই কাজে লাগে। কিন্তু ইদানীংকালের পিএইচডির অবস্থা দাঁড়িয়েছে স্কুল কলেজের  জিপিএ-র মতো। তারা জিপিএ-৪ কিংবা ৫ যাই পাক না কেন,  তাদের বাজিয়ে দেখতে হয় আসলে তারা কি জানেন, কতটুকু জানেন। 

দেখার বিষয় হচ্ছে একজন শিক্ষক কিংবা অন্য যে কোনও পেশার একজন মানুষ পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেও তার সার্কেলে, তার বিষয়ের ব্যাপ্তিতে যারা পড়ে তাদের জন্য বা তার বৃহত্তর ক্ষেত্রে তিনি কতটা অবদান রাখতে পেরেছেন। ডিগ্রি অর্জন করার পর তিনি যদি শুধু একটা ইনক্রিমেন্ট পান কিংবা তার চাকরিতে একটা পদোন্নতি পান তাহলে এই পিএইডি সে মানের হবে না। তিনি তো তার ক্ষেত্রের জন্য, তার গোষ্ঠীর জন্য কিছু করলেন না। তাহলে এই পিএইচডি কোন কাজে লাগাবেন? নাকি শুধু আগে ড. লেখার জন্যই পিএইডি ডিগ্রি নিয়েছেন। রাষ্ট্র পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে প্রতিবছর দুই-আড়াইশ পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও পিএইচডি দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে পিএইচডি দেওয়া হচ্ছে সেগুলো কতটা মানসম্পন্ন? যেসব বিষয়ে পিএইচডি বিশেষ দরকার সেসব বিষয়ে কি পিএইচডি দেওয়া হচ্ছে, পিএইচডি-র মাধ্যমে কি প্রকৃত গবেষক তৈরি হচ্ছে যারা প্রকৃত গবেষণা করে ঐ ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করবেন? নাকি শুধু ডিগ্রি নিচ্ছেন? এ প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আমাদের জানা আছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আমরা দেখি  শিক্ষকদের অনেকেই এখনো দেশেরই অপরাপর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খণ্ডকালীন হিসেবে কর্মরত। অনেকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ জনবলের অভাব রয়েছে।  সেখান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওযার সুযোগ এখন কতটা যৌক্তিক সেই প্রশ্ন ইতোমধ্যে অনেকেই তুলেছেন। 

আমাদের শিক্ষা পদ্ধতিতে যেমন শিক্ষার্থীরা কি শিখল বা না শিখল তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে একশত নম্বরের মধ্যে কত নম্বর পেল সেটি। বিষয়টি আমরা কালচারে পরিণত করে ফেলেছি, কারণ একজন শিক্ষার্থী  শতকরা কত নম্বর পেল তার ওপর নির্ভর করে পরবর্তী পর্যায়ে ভর্তি, চাকরি, সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদি। কাজেই শুধু শিক্ষার্থী , অভিভাবক  আর শিক্ষকদের  এ নিয়ে দোষ দিলে হবেনা। একটি বিদ্যালয়ের মান মর্যাদা নির্ভর করে ঐ বিদ্যালয় থেকে কতটা জিপিএ-৫ পেয়েছে তার ওপর। এই ধারাবাহিকতা চলছে উচ্চ শিক্ষায়, চলছে গবেষণার ক্ষেত্রেও। 

এখন ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ পিএইচডি করছেন। কেন করছেন? কারণ  পিএইচডির সার্টিফিকেট অর্জন করা। এটি করার জন্য মানুষ ব্যস্ত। কারণ এই কাগজটি থাকলে তাকে সবক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, চাকরি পেলে বেতন বেশি দেওয়া হয়। সামাজিক মর্যাদা তো আছেই। কিন্তু দেখা যায়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব সার্টিফিকেটধারীরা গবেষণার ধারে কাছেও যান না, দেশ দশ কিংবা মানব কল্যাণ তো দূরের কথা নিজের শিক্ষার্থীদের জন্যও এক বিন্দু গবেষণা তারা করেন না। তাহলে শুধু সার্টিাফিকেটধারীদের কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে তা একটি জটিল বিষয়। অরিজিন্যাল পিএইচডি ডিগ্রিধারী আগেও ছিলেন এখনও আছেন। কিন্তু, পিএইচডি মানে এখন অনেকের ক্ষেত্রে যেটি হয়েছে, তা হলো বিভিন্ন জনের লেখা জোড়াতালি দিয়ে একটি পেপার বানানো এবং সেটি জমা দিয়ে একটি ডিগ্রি অর্জন করা। 

গ্রিক দার্শনিক হেরাক্লিটাস একবার বলেছিলেন, আপনি কখনোই এক নদীতে দুবার পা রাখতে পারবেন না। কেননা, দ্বিতীয়বার যখন পা রাখবেন, তখন নদীও খানিকটা পরিবর্তিত হয়েছে, সঙ্গে আপনিও। পরিবর্তন যেটুকু হলো, সেটি ধরতে পারাটাই হচ্ছে গবেষণা। গবেষণা করতে গেলে কি বিরাট ডিগ্রিধারী হতে হবে? এখানে ধৈর্য একটি বিরাট বিষয়। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক, শিক্ষাগত-ইত্যাদি যে কোনও সমস্যার সমাধান খোঁজার জন্য প্রয়োজন গবেষণার। সমস্যা সমাধানের দক্ষতা গড়ে উঠতে পারে একজন গবেষকের মধ্যে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষক বলেছেন,  গবেষণা সম্পর্কে একটা ধারণা আছে, এটি নিরস, তথ্য বিশ্লেষণের ভারে ও রেফারেন্স –টীকা-টিপ্পনীতে ভারাক্রান্ত। কিন্তু গবেষণার বিষয়বস্তু বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারলে ও গবেষণার পদ্ধতি ঠিকঠাক নির্বাচন করা গেলে গবেষণা করা ও অভিসন্দর্ভ পাঠ করা আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা হতে পারে। গবেষণা প্রশ্নকে মাথায় রেখে তথ্য সংগ্রহের পরে তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ফলাফল উপস্থাপনের পুরো প্রক্রিয়াটিতেই আবিষ্কারের রোমাঞ্চ কাজ করে। তবে পূর্বশর্ত একটাই, গবেষককে খোদ গবেষণা বিষয়টি ভালভাবে বুঝতে হবে। আমাদের আধুনিককালের পিএইচডি ডিগ্রিধারীরা আসলেই কি গবেষণা বোঝেন? তারা কি আসলেই শিক্ষা, সমাজ ও দেশের উন্নয়নের জন্য গবেষণা করার যোগ্যতা অর্জন করেছেন বা করেন সেটি প্রশ্নই থেকে যাচ্ছে। 

লেখক: কান্ট্রি ডিরেক্টর, ভাব বাংলাদেশ  ও সভাপতি ইট্যাব। 

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0067999362945557