সন্দেশখালিতে পুলিশের গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন গ্রামের মহিলারা। তাদের অভিযোগ, এলাকা থেকে তাদের স্বামী এবং ছেলেদের তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। অভিযোগ, যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীও রয়েছেন।
শুক্রবার সন্দেশখালিতে বিজেপি মহিলা মোর্চার পক্ষে একটি দল সন্দেশখালিতে যায়। তাদের সেই সফরের মধ্যেই নতুন উত্তেজনা। গ্রামবাসীদের দাবি, ভাঙচুড়ের ‘মিথ্যা’ অভিযোগে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। প্রথমে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা আটকানো হয়। এর পর এক মহিলা পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। তাকে পুলিশ সরিয়ে দেয়ার পরেই বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা গ্রামের মহিলাদের নিয়ে রাস্তার উপরে বসে পড়েন। পুলিশ সেই প্রতিরোধ সরিয়ে দিতে গেলে তৈরি হয় উত্তেজনা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রধান ফাল্গুনী বলেন, গ্রামের মহিলারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলেন, তাদের হাতে লাঠিও ছিলো না। পুলিশ নির্মম ভাবে তাদের টেনে হিঁচড়ে তুলে দেন। এক মহিলার পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় পুলিশের গাড়ি।
ফাল্গুনী আরো বলেন, সন্দেশখালিতে পুলিশ দোষীদের আড়াল করতে নিরপরাধদের ওপর অত্যাচার করছে। পরীক্ষা চলার মধ্যে এক উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয়। পরীক্ষা দিয়ে ফিরে ছেলেটি খেতে বসেছিল। যদিও পুলিশ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, বেড়মজুরে শুক্রবার সকাল থেকে তৈরি হওয়ার পর বেলার দিকে সেখানে রাজ্যপুলিশের ডিজি রাজীব কুমার যান। এলাকা ঘুরে বার্তা দিয়েছিলেন, আইন নিজের হাতে নিলে আমরা গ্রেফতার করবো। কেউ আইন অমান্য করেছেন মানে পাল্টা কেউ আইন নিজের হাতে নেবেন, তা হবে না। কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের জানান। যা পদক্ষেপ করার আমরা করবো।
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্দেশখালির বেড়মজুরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়। গ্রামের মহিলারা অভিযোগ করেন, পুলিশ কেনো তার বাড়ির লোকজনকে নিয়ে যাচ্ছে জানতে চাওয়া হলে বলা হয়, কথা বলবে বলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।