শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণ, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস ও মেডিকেল ভাতা প্রদান, অতিরিক্ত চাঁদা কর্তনের আদেশ বাতিলসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে রাজধানীর পল্টনের একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এ ৯ দফা দাবি জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল সিদ্দিকী।
সভায় সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক বিলকিস জামানসহ কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষক নেতারা বক্তব্য রাখেন। এ সময় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করতে ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন সমিতির নেতারা।
শিক্ষকদের দাবিগুলো হল, শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণ, সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেলের মতো এমপিওভুক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল নির্ধারণ, কলেজ শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনুপাত প্রথা বাতিল করা, অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের ফান্ডের জন্য অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তনের আদেশ বাতিল, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালু করা, শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও মেডিক্যাল ভাতা দেয়া, টাইম স্কেল বা উচ্চতর বেতন গ্রেড দেয়ার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার।
এছাড়া সভায় অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের নতুন নীতিমালা বাতিল করে আগের নীতিমালা পূণর্বহালের দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
এছাড়া বন্যার্ত ও ডেঙ্গু আক্রান্তদের পাশে দাড়ানোর জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান সমিতির নেতারা। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল-কলেজ সংস্কারের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে দাবি জানানো হয়েছে সভায়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সমরেন্দ্রনাথ রায় সমর, অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের, আব্দুল খালেক, অধ্যাপক মো. ফজলুল হক খান, পারভীন জামান, মো. আব্দুল মজিদ, শামসুল হুদা প্রামানিক, হাসিনা পারভীন, মো. শাহাদুল হক, মো. হাফিজুর রহমান তালুকদার, জেব-উন-নিসা, সুনীল চন্দ্র পাল, সাহিদা বেগম, এ কে এম সিরাজুল ইসলাম, ব্রজেন্দ্র নাথ সরকার, আব্দুল লতিফ সিকদার প্রমুখ।