তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ লেভেল-১ এর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল দশটায় স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় , রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা এ গুচ্ছে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চুয়েট প্রশাসনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকালে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম ক্যম্পাসের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি ও চুয়েট পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, কুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমদ, রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাসুদ রানা এবং চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এবারের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় চুয়েট কেন্দ্রে ‘ক’ গ্রুপে ৭ হাজার ৪৫৫ জন এবং ‘খ’ গ্রুপে ১ হাজার ৪৫ জন মোট ৮ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। চুয়েট ক্যাম্পাসে ‘ক’ গ্রুপের ৫০০০১-৫৭৪৫৫ এবং ‘খ’ গ্রুপের ৫৮৫০১-৫৯৫৪৫ রোল নম্বরধারী শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এবারের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় চুয়েট কেন্দ্রে ‘ক’ গ্রুপে ৭ হাজার ৪৫৫ জন এবং ‘খ’ গ্রুপে ১ হাজার ৪৫ জন মোট ৮ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
চুয়েট কেন্দ্রের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ গ্রুপে মোট ৭ হাজার ৪৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ১৯৫ জন উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ২ হাজার ২৬০ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। অর্থাৎ ‘ক’ গ্রুপে উপস্থিতির হার ৫১.২ শতাংশ।
এদিকে সকালে তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা রুয়েট কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ১০টা থেকে বেলা ১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে এসব ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রুয়েট প্রশাসন জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষায় রুয়েট কেন্দ্রে সর্বমোট ৯ হাজার ২০০ জন অংশ নেয়।
এবারের দু’টি গ্রুপের অধীনে ১৪টি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিকে ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাসহ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের জালিয়াতি রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ভর্তি পরীক্ষায় চুয়েটের ৯০১টি আসন, কুয়েটের ১ হাজার ৬৫টি আসন এবং রুয়েটের ১ হাজার ২৩৫টি সবমিলিয়ে মোট ৩ হাজার ২০১টি আসনের বিপরীতে সর্বমোট ২৫ হাজার ৬৪৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। ভর্তি পরীক্ষাটি ‘ক” গ্রুপ (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ) এবং “খ” গ্রুপ (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ) দুইটি গ্রুপে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ‘ক’ গ্রুপে মোট ২২ হাজার ৬১০ জন এবং ‘খ’ গ্রুপে মোট ৩ হাজার ৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এমসিকিউ পদ্ধতিতে ‘ক’ গ্রুপের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এবং ‘খ’ গ্রুপের (মুক্তহস্ত অঙ্কন) পরীক্ষা দ্বিতীয় পর্বে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ১টা ৪৫মিনিট পর্যস্ত এক ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। ‘ক’ গ্রুপের সাধারণ প্রকৌশল বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা ১০০টি প্রশ্নে মোট ৫০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর ‘খ’ গ্রুপের স্থাপত্য বিভাগের জন্য মুক্তহস্ত অঙ্কনে (ব্যবহারিক) অতিরিক্ত ২০০ নম্বরসহ মোট ৭০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া কুয়েট কেন্দ্রে ‘ক’ গ্রুপে ৬ হাজার ৯৬৩ জন এবং ‘খ’ গ্রুপে ৯৮৪ জন মোট ৭ হাজার ৯৪৭ জন পরীক্ষার্থী এবং রুয়েট কেন্দ্রে ‘ক’ গ্রুপে ৮ হাজার ১৯২ জন এবং ‘খ’ গ্রুপে ১ হাজার ৮ জন মোট ৯ হাজার ২০০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন।
কুয়েট ক্যাম্পাসে ‘ক’ গ্রুপের ৬০০০১-৬৬৯৬৩ ও ‘খ’ গ্রুপের ৬৮৫০১-৬৯৪৮৪ এবং রুয়েট ক্যাম্পাসে ‘ক’ গ্রুপের ৭০০০১-৭৮১৯২ ও ‘খ’ গ্রুপের ৭৮৫০১-৭৯৫০৮ রোলধারী শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।