স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণি ছাড়া আর কোনো শ্রেণিতে বয়স কোনো বাধা নয় বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন।
লটারিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও বয়সের জটিলতার কারণে জামালপুর জিলা স্কুল ও মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীদের বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।এবার ভর্তিসংক্রান্ত সভার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রথমে যে নীতিমালা জারি করা হয়েছিল, সেখানে গতবারের নিয়মগুলো ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই সেটি ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে ফেলা হয়। এরপর এ বিষয়ে স্পষ্টকরণও দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো কোনো প্রধান শিক্ষক সেটি খেয়াল করেননি। মূলত কোথাও কোথাও এ কারণেই ভুল–বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে। তবে এটি একেবারেই পরিষ্কার, প্রথম শ্রেণি ছাড়া আর কোনো শ্রেণিতে বয়সের কারণে কাউকে ভর্তিতে আটকানো যাবে না। এটি করলে তা হবে অন্যায় ও অপরাধ। এটি করার কোনো সুযোগ নেই।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ভর্তির সময় বয়স নিয়ে জটিলতা দেখা দিলে আদালতের নির্দেশে তা সংশোধন করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, এবার সারা দেশের অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়।
লটারিতে নির্বাচিত হওয়ার পরও বয়সের জটিলতার কারণে জামালপুর জিলা স্কুলে ভর্তি হতে পারছিল না। জিলা স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীর বয়স কমপক্ষে আট বছর বা তার বেশি হতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স হবে কমপক্ষে ১১ বছর। তবে, বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে জটিলতার সমাধান হয়েছে।
একইভাবে লটারিতে উত্তীর্ণ হয়েও বয়স জটিলতার কারণে মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৮৭ শিক্ষার্থীর ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলো।
গতকাল বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তির ফরম তুলতে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানতে পারেন, বয়স ১১ বছর না হলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাবে না। এমন তথ্য জানার পরপরই মানিকগঞ্জ সরকারি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।