প্রধান শিক্ষক পদে আত্তীকরণের জন্য প্রশাসনিক ট্রাইবুনালের দারস্থ হতে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সরকারিকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পরামর্শ দিয়েছে আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার(২৭ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
দৈনিক শিক্ষা পরিবারের নতুন সদস্য ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
আদেশের বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আদালতে রিট আবেদনকারী প্রধান শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন ইমাম হাসান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
এর আগে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। শুনানি শেষে আদালত সরকারিকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কেন প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সে আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি করে আপিল বিভাগ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ এবং কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জানুয়ায়ি জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপন সে বছর ২৪ জুলাই সংশোধন করা হয়। সংশোধিত প্রজ্ঞাপনের ৪(২)ঘ-ধারায় বলা হয়, সরকারিকৃত প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের জন্য একজন প্রধান শিক্ষক ও চারজন সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হবে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের এভাবে সৃজিত পদের বিপরিতে আত্তীকরণের পর অবশিষ্ট পদে নতুন নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। কিন্তু এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রধান শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষক হিসেবে গণ্য করে আত্তীকরণ করা হয়। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা।