মানিকগঞ্জের দৌলতপুর প্রমোদা সুন্দরী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দৌলতপুর উপজেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী এসএম রফিকুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শামিনুর ইসলাম বাবুল।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বিদ্যালয়ে আইসিটির কোনো কার্যক্রম চালু না থাকলেও ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বছরে ২৪০ টাকা করে চাঁদা নেন ও এর রসিদ দেন না। এ ছাড়া ২০১৪ ও ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিনা রসিদে অষ্টম ও দশম শ্রেণির ভোকেশনাল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোচিং ফি বাবদ ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর বিদ্যালয়টি সরকারীকরণ হওয়া সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বেসরকারি নিয়মে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন বাবদ ১৩০ টাকা ও পরীক্ষার ফি বাবদ ৪৫০ টাকা করে আদায় করে আসছেন।
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে টাকার বিনিময়ে কাজল ব্রাদার্স ও অনুপম গাইড কিনতে বাধ্য করছেন শিক্ষার্থীদের। এদিকে বিদ্যালয়ের ভাড়া দেওয়া দোকানগুলোর ভাড়ার টাকা সঠিকভাবে বিদ্যালয়ের ব্যাংকের হিসাবে জমা দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ করা হয়।
এ ব্যাপারের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনোটাই সত্য নয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গঠিত তদন্ত কমিটিও অভিযোগের সত্যতা পায়নি। একটি মহল তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।