কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের আলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি গোপনে স্কুলের পুরোনো সামগ্রী বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে। প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বেগমের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে গত রোববার ওই বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সদস্য রিপন সিংহ লালমাই উপজেলা ও কুমিল্লার শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের ৩০ বছরের জমাকৃত আসবাবপত্র, পুরোনো রড, অ্যাংগেল, পুরোনো ভবনের দরজা-জানালাসহ ৩-৪ টন লোহার সামগ্রী, ৫০-৬০ মণ পুরোনো বই/নতুন বইখাতা, কাগজপত্রসহ বিদ্যালয়ের বিনোদনের জন্য স্লিপার/দোলনা নির্মাণের জন্য ক্রয় করা ইট, বালু, কংক্রিট সামগ্রী গোপনে বিক্রি করে দেন। যার আনুমানিক মূল্য তিন লাখ টাকা।
তিনি বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষক, অ্যাডহক কমিটির সভাপতি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল ও অ্যাডহক সদস্যকে না জানিয়ে একক সিদ্ধান্তে বিক্রীত অর্থ আত্মসাৎ করেন। প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম এবং অর্থ আত্মসাৎ জাল-জালিয়াতি সরেজমিন তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অভিযোগকারী।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার বেগম বলেন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম খলিলের মৌখিক পরামর্শে আমি পুরোনো সামগ্রী বিক্রি করেছি।
তবে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, পুরোনো সামগ্রী বিক্রির ব্যাপারে আমি কোনো সিদ্ধান্ত দিইনি। প্রধান শিক্ষক নিজেই এসব করেছেন।