প্রভাষকদের পদোন্নতির রূপরেখা তৈরির কমিটিতে যারা - দৈনিকশিক্ষা

প্রভাষকদের পদোন্নতির রূপরেখা তৈরির কমিটিতে যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সম্প্রতি জারি হওয়া বেসরকারি স্কুল কলেজের নতুন এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে বিভিন্ন কলেজে কর্মরত প্রভাষকদের অভিজ্ঞতা ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ দেয়া হয়েছে। ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজের প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সুযোগ দেয়া হলেও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের প্রভাষকদের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে পদোন্নতির সুযোগ দেয়া হয়েছে। প্রভাষকদের পদোন্নতির বিষয়টি আরও পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট করতে একটি রূপরেখা তৈরি করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ রূপরেখা তৈরিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

বৃহস্পতিবার (৬ মে) কমিটিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, আগামী ৮ মে (শনিবার) প্রভাষকদের পদোন্নতির রূপরেখা তৈরির বিষয়ে একটি সভা করবে মন্ত্রণালয়। 

জানা গেছে, কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিনকে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান, মন্ত্রণালয়ের কলেজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব, ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক, ব্যানবেইস ও অধিদপ্তরের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট, মিরপুর কলেজের অধ্যক্ষ ও অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।  আর মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার উপসচিবকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, কমিটি প্রভাষকদের পদোন্নতির বিষয়ে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করে তা শিক্ষা অধিদপ্তরকে দেবে। 

এরআগে বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে প্রভাষকদের পদোন্নতির রূপরেখা তৈরির  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত সচিব দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজের প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের প্রভাষকদের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে পদোন্নতির বিষয়টি আরও সুস্পষ্ট করতে একটি রূপরেখা করা হচ্ছে। রূপরেখাটি পদোন্নতির বিষয়গুলো সুস্পষ্ট করা হবে, যাতে কোন বিভ্রান্তি না থাকে। এজন্য বৃহস্পতিবার একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।  সন্ধ্যায় কমিটি গঠনের আদেশটি প্রকাশ করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, অনেক সময় বিধিবিধানের অন্যরকম ব্যাখ্যা মাঠপর্যায়ের সংশ্লিষ্টরা দেন। ফলে বিভ্রান্তি ছড়ায়। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হন শিক্ষকরা। এ ধরনের কোন বিভ্রান্তি যাতে না সৃষ্টি হয় তাই রূপরেখাটি করা হচ্ছে। এটি মাঠপর্যায়ে দেয়া হবে। এ বিষয়গুলো নিয়ে শনিবার (৮মে) সভা হওয়ার কথা আছে। 

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, উচ্চমাধ্যমিক কলেজের প্রভাষকদের চাকরির ৮বছর পুর্তিতে প্রভাষক থেকে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে এবং ডিগ্রি কলেজের প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদোন্নতি নিয়ে আগামী ৮ মে (শনিবার) একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন। সভায়, মূল্যায়ন ও পদোন্নতির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে কমিটি গঠন নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

জানা গেছে, নতুন নীতিমালা অনুসারে প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ প্রভাষক ৮ বছর পুর্তিতে পদোন্নতি পাবেন। তবে, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক কলেজের সব প্রভাষকের জন্যই পদোন্নতির সুযোগ রাখা হয়েছে। আর ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের মাধ্যমেই প্রভাষকদের পদোন্নতি দেয়া হবে বলেও নীতিমালায় বলা হয়েছে। বেসরকারি স্কুল কলেজের এমপিও নীতিমালা অনুসারে প্রভাষকদের পদোন্নতি ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের মাধ্যমে দেয়া হবে। 

নতুন নীতিমালায় প্রভাষকদের পদোন্নতির বিষয়ে বলা হয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক কলেজের প্রভাষকরা এমপিওভুক্তির ৮ বছর পুর্তিতে মোট প্রভাষকের মোট পদের ৫০ শতাংশ মূল্যায়নের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে পদোন্নতি পাবেন। ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদোন্নতি পাবেন তারা। জ্যেষ্ঠ প্রভাষকরা ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৬৭ হাজার ১০ টাকা স্কেলে ৬ গ্রেডে বেতন পাবেন। উচ্চমাধ্যমিক কলেজে সহকারী অধ্যাপক বলেও কোন পদ থাকবে না বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। 

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য প্রভাষকরা এমপিওভুক্তির ১০ বছর পুর্তিতে ৯ গ্রেড থেকে ৮ গ্রেডে বেতন পাবেন। মোট ১৬ বছর পুর্তিতে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। পদোন্নতি ছাড়া সমগ্র চাকরির জীবনে দুইটির বেশি উচ্চতর গ্রেড বা টাইমস্কেল পাবেন না।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, ডিগ্রি কলেজের প্রভাষকদের চাকরির ৮ বছর পুর্তিতে মোট প্রভাষক পদের ৫০ শতাংশ নির্ধারিত সূচকে মোট ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য প্রভাষকরা এমপিওভুক্তির ১০ বছর পুর্তিতে ৯ গ্রেড থেকে ৮ গ্রেডে বেতন পাবেন। মোট ১৬ বছর পুর্তিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। পদোন্নতি ছাড়া সমগ্র চাকরির জীবনে দুইটির বেশি উচ্চতর গ্রেড বা টাইমস্কেল পাবেন না। 

প্রভাষকদের পদোন্নতিতে যে ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে তাও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে এমপিও প্রাপ্তির জ্যেষ্ঠতায় ১৫ নম্বর, পরীক্ষার ফলে ১৫ নম্বর, ক্লাসে উপস্থিতি ২০ নম্বর, নেতিবাচক রেকর্ডে না থাকলে ২০ নম্বর, বিভাগীয় মামলা না থাকলে ৫ নম্বর, সৃজনশীল দৃষ্টান্তে ১০ নম্বর, ভার্চুয়াল ক্লাস নেয়ার দক্ষতায় ১০ নম্বর, এমফিল-পিএইচডিতে ৫ নম্বর, গবেষণা কর্ম ও স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ থাকলে ১০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে মূল্যায়নের মাধ্যমে পদোন্নতি পাবেন প্রভাষকরা।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছিল, মূল্যায়ন ও পদোন্নতির ক্ষোত্র মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ একটি কমিটি গঠন করবে। সেই কমিটি সূচকগুলো মূল্যায়ন করে পদোন্নতি প্রদান করবে কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা থাকলে পদোন্নতির জন্য বিবেচনায় আসবে না। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045390129089355