দুর্নীতির দূর্গখ্যাত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার আহসান হাবিব একজন কোটিপতি। তার সঙ্গে একই অভিযোগে নওশাদুলকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সারাদেশের জেলা ও আঞ্চলিক উপপরিচালকের কার্যালয়কেন্দ্রীক দালালচক্র গড়ে তুলেছে হাবিব। বছরের পর বছর ধরে শিক্ষা অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদ ডিডির(এ্যাডমিন) সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। রুহুল মোমিন নামের ডিডি (এ্যাডমিনের) সময় সবচাইতে বেশি টাকা ঘুষ নিয়েছে আহসান হাবিব। এই কথা শিক্ষা ভবনের সবার মুখে মুখে। রুহুল মোমিন তিতুমীর ও কলেজের বহু অপকর্মের হোতা। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা রুহুল মোমিনকে নানা অভিযোগে শুধু বদলি করা হয়েছে।
গত বছর শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রদর্শক নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম হলেও কোনো তদন্তই হয়নি। প্রশ্নফাঁস চক্রের প্রশ্রয়দাতা হিসেবে মন্ত্রণালয়ের কয়েকজনে নাম মুখে মুখে। প্রশ্নফাঁস, ভুয়া কাগজে এমপিওসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত আহসান হাবিবের এই চক্রটিই এর আগে প্রদর্শক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করলেও ধরা পড়েনি।
নিয়োগ কমিটির প্রধান শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে ভিকারুনিসার অধ্যক্ষ নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অধিদপ্তরের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ দুদকে তদন্তাধীন।
প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, পুলিশের প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী পরীক্ষা বাতিল করা হবে। শেকড় সন্ধানী তদন্ত করতে পুলিশকে বলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাজধানীর ৬১ টি কেন্দ্রে কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষা হয়। ৫১৩টি পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন ১ লাখ ৮৩ হাজার। এগুলো অধিদপ্তর ও সরকারি হাইস্কুল ও কলেজের শূন্য পদে নিয়োগের পরীক্ষা।