ঢাকার প্রায় ৯০ ভাগ বাসিন্দাই ভাড়া বাসায় থাকেন। অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরেও অধিকাংশ পরিবার ভাড়া বাসার বাসিন্দা। করোনাকালে শহরের ভাড়াটিয়াদের মধ্যে সবচেয়ে বিপদে আছে মেস ভাড়া করে থাকা শিক্ষার্থীরা। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে তাদের মেসে থাকতে হয়। শুক্রবার (১২ জুন) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, কেননা বেশিরভাগ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হল নেই। প্রায় তিন মাস ধরে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, সদ্য পড়াশোনা শেষ করা চাকরিপ্রত্যাশী কয়েক লাখ বেকারও মেসের বাসিন্দা। উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর আয়ের বড়ো একটা উত্স টিউশনি। করোনার কারণে টিউশনিও এখন বন্ধ। গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পরিবারের আয়ের উত্সও সীমিত হয়ে পড়েছে।
ফলে মেস ভাড়া দেওয়া নিয়ে মহাসমস্যায় পড়েছে তারা। মেস ভাড়া বকেয়া পড়ে যাচ্ছে। কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে তাও অজানা! শহরের কোনো কোনো বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়ার বাড়িভাড়া মওকুফ করেছেন, এটা অবশ্যই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কারোনাকালে শিক্ষার্থীদের মেসভাড়া মানবিক কারণে পুরোপুরি মওকুফ করা হলে ভালো আর তা সম্ভব না হলে ৫০ ভাগ ভাড়া মওকুফ করা দরকার। বাড়িওয়ালাদের কাছে এইটুকু উদারতা আশা করা যেতেই পারে।
লেখক: সাধন সরকার, ৫/এ নারিন্দা লেন, নারিন্দা, সূত্রাপুর, ঢাকা ১১০০