প্রস্তাবিত আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮-এর ক্যাডারভুক্তির ধারা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। সমিতির নেতারা বলেছেন, নব্য জাতীয়করণকৃত সরকারি কলেজ শিক্ষকদের শিক্ষা ক্যাডারে মেনে নেয়া হবে না। সহসাই এ সমস্যার সমাধান না হলে আবারও শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষক-কর্মকর্তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
রোববার (২৯ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব শাহেদুল খবির চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, সহসভাপতি সুকুমার দত্ত, যুগ্ম সচিব মাসুদা বেগম, দপ্তর সচিব সৈয়দ মইনুল হাসান, প্রচার সচিব মো. কামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সচিব শহীদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ খান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত ২৮৫ কলেজের শিক্ষকদের নন ক্যাডার করে সরকারীকরণ করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সম্মতি দিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে একটি বিধি জারি করা হবে। এই বিধিতে বেসরকারি শিক্ষকদের নন ক্যাডার করা হলেও পরবর্তীতে তাদের একটি ভিন্নধর্মী পরীক্ষার মাধ্যমে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের মৌলিক বিধিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে নিয়মিত, উম্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও উত্তীর্ণ হওয়া ব্যতিরেকে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত করার চেষ্টা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মহাসচিব শাহিদুল খবির চৌধুরী আরও বলেন, সরকারের ২৭টি ক্যাডারের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে নানা অনিয়ম-বঞ্চনার শিকার হয়ে আসছেন শিক্ষা ক্যাডারের ১৫ হাজারের অধিক শিক্ষক কর্মকর্তা। বর্তমানে সরকারের জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকদের শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন বিধান রেখেই আত্তীকৃত নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। আমাদের যৌক্তিক দাবিকে আমলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেন। তার ভিত্তিতে শিক্ষা ক্যাডারে কোনো বিধিবহির্ভূত ক্যাডারভুক্তি হবে না এবং দ্রুতই এর একটি স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অথচ আত্তীকরণ নীতিমালায় ননক্যাডারভুক্তদের একটি বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডারভুক্ত হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ননক্যাডার শিক্ষকদের ক্যাডারভুক্ত না করতে আমরা দীর্ঘদিন প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার আমাদের দাবি মেনে নিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, জাতীয়করণভুক্ত শিক্ষকরা শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্তি হলে এতে শিক্ষা ক্যাডারের জন্য হুমকি দেখা দেবে। আমাদের মধ্যে নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। প্রচলিত আত্তীকরণ বিধিমালা-২০০০ পরিবর্তনের মাধ্যমে জাতীয়করণ শিক্ষকদের ননক্যাডারে রাখার আবেদন জানাচ্ছি।