৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ ইং এস আর ও ৩৯৭-এল/৮৫, ১৯ ডিসেম্বর ১৯৯৪ ইং এস আর ও ৩৫২ নং- আইন/৯৪, ৩১ আগস্ট ২০০৩ ইং এস আর নং ২৬০-আইন ২০০৩ ইং গেজেটে সহকারী শিক্ষকদের উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতির সুযোগ ছিল এবং ঐ পদে বিভাগীয় প্রার্থিতা ৪৫ পর্যন্ত বয়স শিথিল ছিল। বুধবার (১৯ আগস্ট) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে সর্বশেষ ১৪৪ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নন-ক্যাডার ও ক্যাডার নিয়োগবিধি, ২০১৯ খসড়া করে সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থিতা বাতিল করে। আগে শিক্ষকরা এটিও, টিও পদে (৪৫ বছর বয়স শিথিলযোগ্য) আবেদন করতে পারতেন। সে সুযোগ এখন তাঁরা পাবেন না। ২০১৯ খসড়াতে উল্লেখ আছে, ৮০ শতাংশ প্রধানশিক্ষক থেকে সহকারী শিক্ষা অফিসার ও সহকারী ইন্সট্রাক্টর পদে নেওয়া হবে। প্রধানশিক্ষক অনেকের বয়স ৪৭/৪৮। প্রধানশিক্ষক পদে ৩ বছর অভিজ্ঞতা অর্জনের পর সহকারী শিক্ষক হলে বয়স দাঁড়াবে ৫০। প্রধানশিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থিতা প্রদান শুভঙ্করের ফাঁকি। মূলত সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক ও নন ক্যাডার প্রধানশিক্ষক এ সুযোগ পাবেন।
সহকারী শিক্ষক পদ ব্লকপোস্টে পরিণত হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি পূরণ করে মানসম্মত শিক্ষার অঙ্গীকার অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। শিক্ষকবৃন্দ সহকারী শিক্ষক থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সরাসরি পদোন্নতির মাধ্যমে ৫০ শতাংশ এবং বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে (৪৫ বছর বয়স শিথিলযোগ্য) ৫০ শতাংশ নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন। ২০১৯ খসড়া বাতিল করে সহকারী শিক্ষকদের এটিও, টিও, সহকারী ইন্সট্রাক্টর, ইন্সট্রাক্টর পদে (বয়স ৪৫ বছর শিথিলযোগ্য) বিভাগীয় প্রার্থিতা পুনঃবহাল রাখা হবে বলে আশা করি।
লেখক : ফারজানা আক্তার, সহকারী শিক্ষক, রাতাখোর্দ্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম