প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ও কোটার ব্যাখ্যা - দৈনিকশিক্ষা

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ও কোটার ব্যাখ্যা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হবে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ২০ মে ৩০ জেলায় এবং তৃতীয় ধাপে আগামী ৩ জুন ৩১ জেলায় এ নিয়োগ পরীক্ষা হবে।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। ২১ এপ্রিল সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী। বুধবার (২৭ এপ্রিল) প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। 

প্রতিবেদনে আরও জানা যায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম। তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসারে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।

শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ থেকে দেখা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৬৫ শতাংশ পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। বাকি ৩৫ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে নেওয়া হয়। তবে পদোন্নতির জন্য যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হয়।

প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণসহ কমপক্ষে সাত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আর সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। আবেদনের বয়সসীমা ২১-৩০ বছর।

সহকারী শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে সব পদ পূরণ করা হয়। এ পদে আবেদনের জন্য স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। বয়স হতে হবে ২১-৩০ বছরের মধ্যে।

নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসারে, সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা ও ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা। এই তিন কোটার প্রতিটি ক্যাটাগরিতে অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে এভাবে তিন কোটায় বিজ্ঞান বিষয়ের যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে।

নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণের ক্ষেত্রে আপাতত বলবৎ অন্য কোনো বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনো বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকলে সেই কোটাসংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

পোষ্য কোটার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন বা ছিলেন, এমন শিক্ষকের অবিবাহিত সন্তান, যিনি সেই শিক্ষকের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। শিক্ষকের বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী বা তালাকপ্রাপ্ত কন্যা, যিনি সেই শিক্ষকের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল, এমন প্রার্থীরা পোষ্য কোটার সুবিধা পাবেন।

বিশেষ বিধান-৮ (২) অনুসারে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে উপজেলা ও থানাভিত্তিক কোটা মানা হবে। উপজেলা বা থানাভিত্তিক শূন্যপদ অনুযায়ী কোনো কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী একই উপজেলা বা থানার উত্তীর্ণ সাধারণ প্রার্থীদের দিয়ে পদ পূরণ করতে হবে।

বিধান-৬ (১) অনুযায়ী, সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগের তারিখ থেকে দুই বছর শিক্ষানবিশকাল হিসেবে গণ্য হবে। শিক্ষানবিশকালে যদি দেখা যায়, তাঁর কর্মদক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাহলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ চাকরিচ্যুতি করতে পারবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজ জেলা ও উপজেলায় নিয়োগ দেওয়া হয়। অন্য বিভাগে বদলির সুযোগ কম। বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন কোনো শিক্ষক জীবনঘাতী রোগে আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসার সুবিধার্থে অন্যত্র বদলি করার সুযোগ আছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা (সংশোধিত) অনুসারে, প্রতি শিক্ষা বছরের জানুয়ারি-মার্চ মাসের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের একই উপজেলা/থানা, আন্ত-উপজেলা/থানা, আন্তজেলা, আন্তবিভাগ ও যেকোনো উপজেলা/জেলা থেকে সিটি করপোরেশনে বদলি করা যাবে।

পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032222270965576