প্রাথমিকের নিয়োগ বঞ্চিতের আর্তনাদ - দৈনিকশিক্ষা

প্রাথমিকের নিয়োগ বঞ্চিতের আর্তনাদ

সালেহা আক্তার |

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ছিল প্রাথমিকের একজন শিক্ষক হওয়া। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে মাস্টার্স পাস করে আমার স্বপ্ন ছিল গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার। জননেত্রী শেখ হাসিনার সফলতার সাথে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ও বিশ্বে নন্দিত সরকার প্রধান। তিনি একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক। তিনি এদেশের শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধসহ সব জনগণের শিক্ষক।

গত ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারী শিক্ষক শূন্যপদে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি মামলা জটিলতায় চার বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়ক্ষেপণ ও প্যানেল না থাকায় ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে দরখাস্ত আহ্বান করে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে বিপুল পরিমাণ শূন্যপদ রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী ছিলেন ১৩ লাখ। এদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় মেধায় উত্তীর্ণ হয় ২৯ হাজার ৫৫৫ জন। উত্তীর্ণের হার ২ দশমিক ২৩ শতাংশ। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পর্যালোচনা করলে নিঃসন্দেহে প্রতীয়মান হয় অধি মেধাবীরাই লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত হয়েছেন। অথচ সে সময় নিয়োগ দেয়া হয়েছিল ৭৬৭ জন শিক্ষক।

২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাস পর্যন্ত ১৮ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য ছিল। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে আমার বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হওয়ায় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের পুনরায় প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ায় স্বপ্ন থেকে বঞ্চিত হই। আমার মতো অনেকের শিক্ষক হওয়ায় স্বপ্ন থেকে বঞ্চিত হয় দীর্ঘ ৪ বছর নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে থাকায়।

শূন্যপদ পূরণ না করেও সময়ক্ষেপণ করার দায় আমার মতো অন্যদের ওপর কেন বর্তাবে? শিক্ষা ক্ষেত্র সেশন জট এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া ৪ বছর স্থগিত থাকায় ১টি মাত্র আবেদনের সুযোগ পেয়েছি। আমার বয়স প্রমার্জনা করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯ হাজার ৭৮৮ জনকে বঞ্চিতদের সাথে প্যানেল তালিকা করা হোক। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের নিয়োগ মজিবর্ষে প্রাথমিকে শূন্য পদের সংখ্যা লক্ষাধিক। এছাড়া প্রায় অতিরিক্ত ২ লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এ প্রেক্ষাপটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নিবেদন, সময়ক্ষেপনে বয়স চলে যাওয়ায় আমাদের প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে সহযোগিতা করবেন।

লেখক : সালেহা আক্তার, গাজীপুর।

[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]

উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ - dainik shiksha স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ ও ‘বিশ্ব বই দিবস’ শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে - dainik shiksha শিক্ষার মান পতনে ডক্টরেট লেখা বন্ধ জার্মান পাসপোর্টে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035748481750488