পরীক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষার ফরমপূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে নতুন কৌশল হাতে নিয়েছে সরকার। প্রযুক্তির ব্যবহার করে ফরমপূরণের সফটওয়্যারের মধ্যেমে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা আদায় করা হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ফরম পূরণের সফটওয়ারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রাপ্য উল্লেখ করবে। অপরদিকে বোর্ডের প্রাপ্য টাকার পরিমান সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করবে। এবার এইচএসসির ফরম পূরণ অনলাইনে করা হবে। পরীক্ষার্থীরা সোনালী সেবা ও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফি জমা দেবে। ফি গ্রহণকারী ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো কলেজ ও বোর্ডের প্রাপ্য পাঠিয়ে দেবে। এতে করে কলেজগুলো অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে পারবে না বলে মনে করছেন শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা।
বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আগামী ১২ আগস্ট থেকে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হচ্ছে। এবারের ফরম পূরণে কোন অবস্থাতেই পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবক প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে আসতে বলতে পারবেনা বলে জানিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো। সোনালী ব্যাংক ও মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ফরম পূরণের ফি আদায় করা হবে। পরীক্ষার্থীরা কলেজ ও বোর্ডের প্রাপ্য টাকা এ মাধ্যমগুলোতে জমা দিতে হবে। আগের মত শিক্ষকদের হাতে হাতে কলেজে টাকা জমা দিতে হবে না পরীক্ষার্থীদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আগামী ১২ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ফরম পূরণ হবে এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে। সংশ্লিষ্ট কলেজ এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী বা তার অভিভাবকের সচল একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করবে। প্রতিষ্ঠান, বোর্ড ফি ও কেন্দ্র ফি সফটওয়্যারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেট করা থাকবে। প্রতিষ্ঠান তাদের প্রাপ্য টাকার হিসেব সফটওয়ারে এন্ট্রি করবে। তারপর পরীক্ষার্থী বা অভিভাবকের নিবন্ধিত ফোন নম্বরে টাকার হিসেবসহ এসএমএস চলে যাবে।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানান, অভিভাবকরা সোনালী সেবা বা পাঁচটি মোবাইল ফিন্যন্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ফি জমা দেবেন। ফিয়ের টাকা গ্রহণকারী ব্যাংক বা সার্ভিসগুলো জমা নেবে। এরপর বোর্ডের প্রাপ্য টাকা বোর্ডকে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্যটাকা প্রতিষ্ঠানকে পাঠিয়ে দেবে।
তিনি জানান, যেহেতু কেন্দ্রীয়ভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে তাই একটি হিসেব থাকছে। কেউ অতিরিক্ত ফি নিলে মোট কত টাকা ফি নিয়েছেন তা আমরা দেখতে পারবো। কেউ অভিযোগ দিলেও সেসব তথ্য সহজে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত ফি আদায় করতে পারবে না।
বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো পরীক্ষার্থী যদি মনে করে, তার কাছে অতিরিক্ত অর্থ চাওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে সে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। সেখানে সমাধান না পেলে বোর্ডের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবে। তাৎক্ষণিক তা যাচাই-বাছাই করবে বোর্ড। প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ফরম পূরণের প্যানেল তাৎক্ষণিক বন্ধ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বোর্ড।
এইচএসসির ফরম পূরণ সংক্রান্ত কোনো সমস্যা বা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কন্ট্রোল রুমের নিম্নোক্ত ফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। নম্বরগুলো হলো- ০২-৯৬৬৯৮১৫, ০২-৫৬৬১১০১৮১, ০২-৫৮৬১০২৪৮, ০১৬১০৭১১৩০৭, ০১৬২৫৬৩৮৫০৮, ০১৭২২৭৯৭৯৬৩।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।
