ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি লেখক মুসতাক আহমেদের মৃত্যু মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির নেতারা। তারা বলেছেন, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা দেশ থেকে পালায়-জামিনে মুক্ত হয়, অথচ সামান্য লেখার জন্য, সমালোচনা করার জন্য লেখক মুশতাককে কারাগারে মরতে হয়।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সমিতির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করা হয়।
বিবৃতিতে সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মহাসচিব এডভোকেট সাইফুল ইসলাম সেকুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন আল আমিন কারাগারে মুশতাকের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচার দাবি করেন। তারা বলেন, নিরাপত্তা আইন বাতিল করে অবিলম্বে সমস্ত লেখক, কলামিস্ট, ব্লগারসহ যাদেরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে।
নেতারা লেখক মুসতাকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তারা আরও বলেন, যে দেশে লিখে জেলখানায় মরতে হয়। চাপাতির কোপে মস্তক বিচ্ছিন্ন হয়। সে দেশে মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।
নেতারা বলেন, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা দেশ থেকে পালিয়ে যায়, তারা জামিনে মুক্ত হয়, অথচ সামান্য লেখার জন্য, কথা বলার জন্য, সমালোচনা করার জন্য লেখক মুশতাককে কারাগারে মরতে হয়। অসুস্থ থাকার পরও জামিন পায় না, সেখানে আইনের শাসন প্রশ্নবিদ্ধ।