বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ‘পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ফায়ার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কোর্স’ চালু হয়েছে ।
গতকাল সোমবার মিরপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান ও বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপাচার্য ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিসেনাদের অগ্নিনির্বাপণের বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট ও মহড়া পরিদর্শন করেন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জনোনো হয়েছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ফায়ার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কোর্স চালুর মধ্যদিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। এটি শুধু ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং ফায়ার সার্ভিসের আধুনিক, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিসকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশব্যাপী এ কোর্সের সম্প্রসারণ নিশ্চিত করতে আগ্রহী।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফায়ার সার্ভিসসহ দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করে একটি বিশেষ অনুপ্রেরণা নিয়ে। আর সেই অনুপ্রেরণার মূল ক্ষেত্র হল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ। আমাদের আগামী প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরি করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ, যুগোপযোগী ও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্ঞান চর্চা ও জ্ঞান সৃষ্টির এক নতুন সমাজ গড়ে তুলতে হবে। কোভিড বাস্তবতার এই পৃথিবীতে চ্যালেঞ্জে মানুষকে জয়ী হতেই হবে। আর সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে হলে আমাদেরকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রয়োগিক ক্ষেত্রগুলোতে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এস. এম. জুলফিকার রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।