বগুড়ার ধুনট উপজেলার একটি মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মনিরুল ইসলাম নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে উঠেছে। মাত্র ১০০ টাকা পরীক্ষার ফি পরিশোধ করতে না পারায় হতদরিদ্র ওই শিক্ষার্থীকে পেটানো হয়েছে।
এ সময় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা অধ্যক্ষকে তাঁর নিজ কার্যালয়ের ভেতর তালাবদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে দুই ঘণ্টা পর অধ্যক্ষকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী বাদী হয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঝিনাই ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাই ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম ২০২১ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। দশম শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ২২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মনিরুল ইসলাম ১২০ টাকা পরিশোধ করেছে। আর্থিক অনটনের কারণে বাকি ১০০ টাকা পরিশোধ করতে পারেনি।
এ কারণে মাদরাসার অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ গতকাল সকালে মনিরুলকে মাদরাসার অফিসকক্ষে ডেকে নিয়ে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এ সময় শিক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয় অভিভাবকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অধ্যক্ষকে তাঁর অফিসকক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ বলেন, ‘পরীক্ষার ফি চাওয়ার কারণে মনিরুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় তাকে দুটি পিটুনি মেরেছি।’
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ইউপি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পর শিক্ষার্থীর অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’