হাতের ইশারায় গাড়ি থামিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। কারো আবার ভোঁ দৌড় দিয়ে রাস্তা পেরোনোর চেষ্টা। রাজধানীর ব্যস্ততম মিরপুর সড়কের সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজসংলগ্ন সড়কে প্রতিদিনকার চিত্র। অথচ পাশেই শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের সামনে ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও সেটি ব্যবহার করছে না তারা।
শুধু স্কুল শিক্ষার্থীরাই নয়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হন সাধারণ মানুষও। তবে এ নিয়ে কথা বলতে বললে এড়িয়ে যান অনেকেই।
সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পড়ুয়ারা ছাড়াও এখান দিয়ে রাস্তা পার হতে দেখা যায় গণভবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে পড়ুয়াদের। অভিভাবকরাও তাদের নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন যত্রতত্র।
জানতে চাইলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে অভিভাবকরা বলেন, ফুটওভার ব্রিজে উঠতে বাচ্চাদের কষ্ট হয়, সেজন্য নিচ দিয়ে পার হয়েছি। এখান দিয়ে তাড়াতাড়ি স্কুলে যাওয়া যায়, ওইখান দিয়ে অনেক দূর।
তবে বেশ কয়েকজন পথচারী ও স্কুল শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করা হলে নিজেদের ভুলের জন্য অনুশোচনা করেন।
নবম শ্রেণির ছাত্র সাহা বীর দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পার হলে ঝুঁকি অনেক কম থাকে। আমাদের সবার উচিত ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পার হওয়া, তাহলে ভালো হয়, দুর্ঘটনার হাত থেকে আমরা বাঁচতে পারবো।
আরেক স্কুল শিক্ষার্থী বলছেন, আমি যদি ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পার হই, তাহলে অনেক দূর হয়ে যায়। এখানে পুলিশ গাড়ি থামালে রাস্তা পার হই।
দশম শ্রেণির ছাত্র মো. তুষার বলেন, ফুটওভার ব্রিজ ছাড়া রাস্তা পার হওয়া অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ। ওপাশে গাড়ি থেকে নামি, তারপর পার হয়ে এ পাশে আসি। ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে পার হলে সময় থাকে না। পথচারীদের অনেকেই বলছেন, সিগন্যাল মেনেই তারা রাস্তা পার হন। তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে, সেজন্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করছেন না তারা।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব (লিংক যাবে) করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।