করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। এরইমধ্যে 'প্রীতি ফুটবল ম্যাচের’ আয়োজন করে নীলফামারীর 'তরুণ ফুটবল একাডেমি'। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বন্ধ করা হয় খেলা। আর সেই ঘটনার জেরে শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম সোহেলের ওপর হামলা করে আয়োজকরা। বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন ওই শিক্ষক।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার (২৬ জুলাই) মামলা দায়ের করা হলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আহত শিক্ষক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
কঠোর বিধিনিষেধে নীলফামারীর জেলার সবকিছু বন্ধ থাকলেও গত ২৩ জুলাই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয় ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। খেলায় দর্শক সমাগম ঘটাতে আগের দিন স্থানীয়ভাবে মাইকিং করে আয়োজকরা। প্রচারণার বিষয়টি নজরে আসলে ইউপি সদস্য সলেমান গনিকে দিয়ে ফুটবল ম্যাচ বন্ধ করে দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আয়োজকরা খেলা বন্ধের বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনোয়ারুল ইসলাম সোহেলকে জানালে তিনিও খেলা বন্ধ রাখার পক্ষে মত দেন। আর এতেই আয়োজকদের সব ক্ষোভ যেন আছড়ে পড়ে শিক্ষকের ওপর।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত ২৪ জুলাই রাতে স্থানীয় বাজারে বেধরক পেটানো হয় শিক্ষক সোহেলকে। আয়োজকদের রোষানল থেকে আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই ঐ শিক্ষককে স্থানান্তর করা হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিমলা থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, হামলাকারীদের গ্রেফতারে সকল চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি তাদের।
এদিকে ফুটবল একাডেমির সদস্যরা হামলার সাথে জড়িত নয় বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে দাবি করেছেন আয়োজকরা।