লালমনিরহাটের কুলাঘাট সীমান্তে ফেনসিডিলসহ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন নামের এক এমপিওভুক্ত কলেজ শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে লালমনিরহাটের কুলাঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকালে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পরে বিশেষ আদালতে আবেদন করে জামিন পেয়েছেন শিক্ষক।
গ্রেফতার ও জামিনের বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম।
গ্রেফতার জাহাঙ্গীর আলম শাহীন লালমনিরহাট সদরের দালালটারি গ্ৰাম নিবাসী ও আদিতমারী মহিষখোঁচা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক।
বিজিবি সদস্যরা জানিয়েছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক হলেও দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সদর উপজেলার কুলাঘাট সীমান্তবর্তী এলাকায় আসা-যাওয়া করতেন জাহাঙ্গীর। বৃহস্পতিবার রাতে সীমান্তে এসে তিনি বিজিবির টহলরত সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ সময় তার মোটরসাইকেলে তল্লাশি চালিয়ে ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। পরে তাকে সদর থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।
শুক্রবার মধ্যরাতে লালমনিরহাটের কুলাঘাটে একবোতল ফেনসিডিলসহ ধারা পরার পরে তিনি নিজেকে দৈনিক জনকন্ঠ ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
বিজিবি সদস্যরা আরও জানান, শাহীন এর আগে দুইবার মোঘলহাট ক্যাম্পে আটক হয়েছিলেন। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়া কয়েকমাস আগে মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার মাদক সেবনের একটি কথোপকথনের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিজিবি সদস্যরা মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছে। আজ শুক্রবার তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পরে, শুক্রবার সকালে বিশেষ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে বিচারক তার জামিন আবেদন মন্জুর করেন।
যদিও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের একাধিক চাকরি করার বিধান নেই। নতুন এমপিও নীতিমলার ১১.১৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘এমপিওভুক্ত কোনও শিক্ষক-কর্মচারী একইসঙ্গে একাধিক কোনও পদে, চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনও পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। এটি তদন্তে প্রমাণিত হলে সরকার তার এমপিও বাতিলসহ দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।