ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন থেকে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ফেব্রুয়ারির কত তারিখ থেকে খোলা হবে, সেটা জানা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিলে করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী মাসের যেকোন দিন খুলে দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, দুই মন্ত্রণালয়ের তিনজন সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তরের মহাপরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের চাওয়া এবং সংসদ সদস্যদের স্কুল খুলে দেয়ার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওই সভা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে পরীক্ষা আছে এমন ক্লাসগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে রিকভারি প্ল্যান (ক্ষতি পোষাতে) করা হবে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী।
জানতে চাইলে সন্ধ্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই মন্ত্রণালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কীভাবে খোলা হবে, কোন শ্রেণিকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে এর একটি পরিকল্পনা করতে দুই মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে স্কুল খোলার ঘোষণা দেয়া হবে।
তাহলে কি ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১ তারিখই খুলছে তা বলা যাবে না, ফেব্রুয়ারির যেকোনো দিন খোলার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাগবে।
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে দেয়া হবে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। তবে শুরুতে প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের আংশিক উপস্থিতিতে ক্লাস নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতি বছরের এসএসসি সমমান ও এইচএসসি সমমান পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান স্কুল-কলেজের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে কওমি মাদরাসা এ ছুটির আওতামুক্ত থাকবে। চলমান ছুটি আগামী ৩০ জানুয়ারি শেষ হওয়ার পর কি হবে সেই নিয়েই সভায় আলোচনা হয়েছে। এদিকে আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাসাইমেন্ট দেয়ার জন্য সিলেবাস তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর নতুন করে বাড়ানো হবে না, আগামী মাসের (ফেব্রুয়ারি) শুরু থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে সব শিক্ষার্থীর ক্লাস শুরু হবে না। এ ক্ষেত্রে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করতে ক্লাস শুরু করা হবে। ধাপে ধাপে অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস শুরু করা হবে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ থেকে প্রতিদিন একটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হবে। বর্তমানে সে ধরনের ক্লাস রুটিন তৈরির কাজ শুরু করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে বাতিল হয় গত বছরের সকল বোর্ড পরীক্ষা। অটোপাস ঘোষণা করা হয়েছে এইচএসসি, জেএসসি, পিইসি ও সমমানের পরীক্ষায়।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।