ফের আলোচনায় বেপরোয়া ছাত্রলীগ - দৈনিকশিক্ষা

ফের আলোচনায় বেপরোয়া ছাত্রলীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ। এমন ঘটনা বিরল না হলেও ৩ ও ৪ ডিসেম্বর পরপর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ১০ দিনের জন্য এবং ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজের ছাত্রাবাসগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয় ছাত্রলীগের অনাকাঙ্ক্ষিত কার্যকলাপের কারণে। বহু বছর ধরে চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হানাহানি, খুনোখুনির মতো ঘটনায়ও জড়িয়ে রয়েছে সংগঠনটির একশ্রেণির নেতাকর্মী। এখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না বিভিন্ন স্থানের কমিটি ও সংগঠকদের। 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ভালো কাজের জন্য ছাত্রলীগ গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে- নিকট অতীতে এমন নজির খুঁজে পাওয়া ভার। ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনটি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন দেশে সামরিক শাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এবং নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও স্থানিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

গত ৩০ নভেম্বর কুয়েটের লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সেলিম হোসেনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। হলে পছন্দের ডাইনিং ম্যানেজার নিযুক্ত করার জন্য প্রাধ্যক্ষকে চাপ দিয়ে আসছিল ছাত্রলীগের প্রভাবশালী কর্মীরা। এরা শিক্ষককে লাঞ্ছিত করলে মানসিক প্রতিক্রিয়ায় তার মৃত্যু ঘটে বলে পরিবার ও সাধারণ ছাত্রদের অভিযোগ।

এর এক মাস আগে ৩০ অক্টোবর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি-সংঘর্ষের ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক)। প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আঘাত পান কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিব। কঠিন আঘাতে ভেঙে যায় আকিবের মাথার হাড়। আঘাত লাগে মস্তিস্কে। জরুরিভাবে অস্ত্রোপচার করে করোটির ভাঙা টুকরো পেটের নিচে রাখা হয়। হাসপাতালে আকিবের পুরো মাথায় লাগানো সাদা ব্যান্ডেজে 'হাড় নেই, চাপ দিবেন না' লিখে রাখার সংবাদচিত্র তোলপাড় তোলে সারাদেশে। সৌভাগ্য যে আকিব সুস্থ হয়েছেন।

সর্বশেষ গত শনিবার ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ আনন্দ মোহন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনায় রাতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজের হল বন্ধ ঘোষণা করেছে।

রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের চলমান নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও ছাত্রলীগের বাধা দেওয়ার খবর সংবাদমাধ্যমে আসে। ২০১৮ সালে শিশু-কিশোরদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মিছিলে হামলা হলেও এবার ছাত্রলীগ বাড়াবাড়ি করছে না।

গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক নারীকে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পরদিন তার স্বামী শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় তীব্র ধিক্কার ওঠে সারাদেশে। মামলার চার্জশিট হয়েছে।

দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ মামলার তদন্ত করে বুয়েট ছাত্রলীগের ২৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরই মধ্যে মামলাটির বিচার শেষ হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর এ মামলার রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও সহিংসতা :২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন নিষ্ঠুর ও নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে ছাত্রলীগের নাম। এক পরিসংখ্যানমতে, কেবল ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে ছাত্রলীগের নিজেদের কোন্দলে নিহত হন ৩৯ জন। এ সময়ে ছাত্রলীগের হাতে প্রাণ হারান অন্য সংগঠনের ১৫ জন। ২০০৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আসাদ ওরফে রাজীবকে হত্যার পর লাশ বহুতল ভবন থেকে ফেলে দেওয়া হয়। ২০১০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিমকে সংগঠনের কর্মীরাই মারধর করে বহুতল ভবন থেকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করে। ২০১০ সালে ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আবুবকর সিদ্দিক। একই বছর ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মারা যান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। ২০১২ সালে ছাত্রলীগ নেতাদের চাপাতির কোপে প্রাণ হারান পুরান ঢাকার দর্জি বিশ্বজিৎ দাস।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, সংগঠনের বর্তমান কমিটির মেয়াদ ফুরিয়েছে বেশ আগেই। ফলে সর্বত্র সারাদেশে কেন্দ্রের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণও নেই। সম্মেলন না করে বিভিন্ন স্থানে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে।

২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। একই বছর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রায় এক বছরের মাথায় ২০১৯ সালের ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন শোভন-রাব্বানী। তবে অর্থের বিনিময়ে মূল্যায়ন, কমিটিতে শিবিরকর্মীদের অনুপ্রবেশ ও ত্যাগীদের অবমূল্যায়নের বিস্তর অভিযোগ আসে শোভন-রাব্বানী ঘোষিত এ কমিটির বিরুদ্ধে। পদবঞ্চিত অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতে মাসব্যাপী আন্দোলন ও অনশন কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় পর্যায়ক্রমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে চাঁদা দাবি, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে অর্থনৈতিক লেনদেনের অডিও ফাঁস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনে যাওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষমাণ রাখা, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছানোর পর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সেখানে যাওয়া, জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদকে বসিয়ে রাখা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি দিতে দেরি করা, ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বাদপড়া নেতাদের সঙ্গে মধুর ক্যান্টিনে মারামারি করা, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের নতুন ভবনে ছাত্রলীগের জন্য বরাদ্দ করা ফ্লোরের বাথরুমে মাদক পাওয়ার বিষয়গুলো গণমাধ্যমে উঠে আসার পর জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

এমন প্রেক্ষাপটে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে তাদের সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আল-নাহিয়ান খান জয়কে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও লেখক ভট্টাচার্যকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অনুরোধের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেন।

খুলনা ব্যুরো জানাচ্ছে, এক যুগ ধরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) চলছে ছাত্রলীগের দাপট। হলে সিট বরাদ্দ ও ডাইনিং ম্যানেজার নির্ধারণের ক্ষেত্রে রয়েছে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ। ক্যাম্পাসে অন্য কোনো ছাত্র সংগঠন সক্রিয় না থাকায় পুরো ক্যাম্পাসই রয়েছে ছাত্রলীগের প্রভাবাধীনে।

সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের 'মানসিক নিপীড়ন' সইতে না পেরে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কুয়েটের শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেন। শিক্ষকদের অভিযোগ, কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান তার মনোনীত ছাত্রকে লালন শাহ হলের ডাইনিং ম্যানেজার নিযুক্ত করার জন্য হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সেলিমকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন। ওই দিন সেজান ৪০-৪২ নেতাকর্মীকে নিয়ে আবারও ড. সেলিমকে চাপ প্রয়োগ এবং তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, যা সহ্য করতে না পারায় বাসায় যাওয়ার পর হার্ট অ্যাটাকে ড. সেলিমের মৃত্যু হয়। গত ৩ ডিসেম্বর কর্তৃপক্ষ কুয়েট ক্যাম্পাস ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা ও বিকেল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুপুরে ক্যাম্পাসের চারটি গেটে তালা লাগিয়ে দেয়, যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেউ ক্যাম্পাস ছাড়তে না পারে। পরে কুয়েটের নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশ সেই তালা ভেঙে ফেলে।

ওই দিন বিকেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে চাপ প্রয়োগ ও তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এ সময় সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি মারতে উদ্যত হয় তারা। এ পরিস্থিতিতে কুয়েট সিন্ডিকেটের সভায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৯ নেতাকর্মীকে সাময়িক বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে গতকাল রোববার থেকে কাজ শুরু করেছে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস জানিয়েছেন, দায়ীদের স্থায়ীভাবে বহিস্কার না করা পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না।

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানিয়েছে, শুধু চমেক নয়, গত ২৭ নভেম্বর 'সিনিয়রে'র সামনে 'জুনিয়রে'র সিগারেট খাওয়া নিয়ে চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজেও ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন তিনজন। এর আগে গত ১৩ অক্টোবর একই কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারিতে একজন আহত হন। সংঘর্ষে এখানে ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিহত হন দু'জন। ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর নিজ বাসায় খুন হন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী। টেন্ডার বিরোধের জেরে সংগঠনের নেতাকর্মীরাই তাকে খুন করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ আনন্দ মোহন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের পর কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা করেছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির মাত্র তিন দিন আগে হলে উঠেছিলেন ছাত্ররা। কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ নিয়ে গতকাল রোববার হল ত্যাগ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এবার অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি জেলা ছাত্রলীগ, না মহানগর ছাত্রলীগের কর্তৃত্বে থাকবে- তা নিয়ে।

ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হলে সংগঠনটির ১ নম্বর সহসভাপতি রেজাউল করিম সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন বিন সাত্তারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তাদের মধ্যে শুধু প্রদীপ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়। সংগঠনটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা হলে তিনি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি জানালে তিনি বলেন, আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে জানাচ্ছি।

আধঘণ্টা পর প্রদীপকে আবারও ফোন করা হলে তিনি জানান, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ সময়তিনি আবারও সময় চান।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036427974700928