ফের ‘বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টে’ ভাঙন ধরেছে। এবার নাম পরিবর্তন করে সংগঠনটির নতুন নাম করা হয়েছে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল’। শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে এ নতুন নাম ঘোষণা করেন সংগঠনটির একাংশের নেতাকর্মীরা।
১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জানুয়ারি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জোটবদ্ধভাবে এবং এককভাবে শিক্ষা ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সংগঠনের অভ্যন্তরে আদর্শিক ও সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে গুরুতর মতপার্থক্যের কারণে এ নিয়ে তিনটি ধারায় বিভক্ত হলো। ভেঙে যাওয়া অংশগুলো হলো সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মাসর্কবাদী) ও নতুন আত্মপ্রকাশ পাওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্কসবাদী) একাংশের আহ্বায়ক তাজ নাহার রিপন নতুন সংগঠনের (গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল) নাম ঘোষণা করেন। এ সময় নতুন কমিটি ঘোষণা করেন তিনি।গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দীন, সহসভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, সাধারণ সম্পাদক উজ্জল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক এ্যানি চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজেশ্বর দাস গুপ্ত, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক সুজয় বিশ্বাস শুভ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সুজন তঞ্চঙ্গ্যা, স্কুলবিষয়ক সম্পাদক তানজিনা বেগম। কমিটির আরও ১০ সদস্যসহ ২০ জনের কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কিমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণার পাশাপাশি এ সময় তিন দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা। সেগুলো হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুলে দেওয়া; ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হোস্টেলে একক দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।