ঈদ-পরবর্তী সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে বৈরী আবহাওয়া মধ্যে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভীড় দেখা গেছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানাতো দূরের কথা ধাক্কাধাক্কি করে ফেরিতে ওঠার প্রতিযোগিতা চলছে। রোববার (২৫ জুলাই) সকালে ফেরিঘাটে প্রায় ৫ শতাধিক যাত্রী ছিলেন ফেরির অপেক্ষায়। ফেরি আসার পরে প্রশাসনের বাঁধা তোয়াক্কা না করে মানুষ ফেরিতে উঠতে থাকে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও র্যাবের সদস্যরা ধাওয়া করলে ঢাকামূখী তিন যাত্রী নদীতে পরে যায়। পরবর্তীতে তারা সাতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়।
নদীতে পরে যাওয়া তিন যাত্রীর মধ্যে এক জন মো রুবেল হোসেন। তার সাথে দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে কথা হলে তিনি বলেন, আমি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। অফিস থেকে ঈদের দিন দুই দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি আসছি। আজকের মধ্যে ঢাকা না পৌঁছাতে পারলে আমার চাকরিটা থাকবে না। তাই, জরুরিভিত্তিতে ঢাকা যাওয়া জন্য রওনা দিয়েছিলাম। র্যাবের ধাওয়া ও যাত্রীদের চাপে নদীতে পরে যাই। এতে আমার প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ভিজে যায়। এখন আমি কিভাবে কি করবো বুঝতে পারছি না।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু আবদুল্লাহ খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, লকডাউনে ইলিশা ফেরিঘাটে সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। তাদেকে জেলা প্রশাসনের পক্ষে আমরা বুঝিয়ে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছি। ঘাটে ফেরি আসার এক পর্যায়ে যাত্রীরা আমাদের বাধা অতিক্রম করে ফেরিতে উঠতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গতিরোধ করে। যাত্রীদের চাপে ঘাটের গ্যাংওয়ে থেকে তিন জন নদীতে পরে যায়। পরে স্থানীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ভোলার ফেরি ও লঞ্চঘাটে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্বে একটি টিম পাশাপাশি র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও জেলা পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। বিদেশেগামী যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ফেরিতে উঠতে দেয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ দায়িত্বরত কর্মকর্তাদেরও বলা হয়েছে। তারাও যাত্রী পারাপারে কঠোর অবস্থানে আছেন।