হঠাৎ ঝড়ো বাতাসে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পন্টুনের তার ছিঁড়ে একটি মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে গিয়ে ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নদীতে পড়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টা পর বেলা দেড়টার দিকে মাইক্রোবাসটি ওপরে তুলতে সক্ষম হয় উদ্ধারকারী দল। মাইক্রোবাসটিতে কোনো যাত্রী ছিল কি না তাৎক্ষণিকভাবে সেটি জানা যায়নি। তবে গাড়িটিতে চালক ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা। গতকাল রাত ৯টায় সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চালক তখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাইক্রোবাসটি সম্ভবত ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার আগেও গাড়িটি পন্টুনের র্যামের ওপরই ছিল। কিন্তু হঠাৎ প্রচ- ঝড়ো বাতাসে পন্টুনের তার ছিঁড়ে গিয়ে মাইক্রোবাসটি ছিটকে নদীতে পরে গিয়ে ডুবে যায়। গাড়িটিতে কালো রঙের গ্লাস থাকায় ভেতরে যাত্রী ছিল কি না তা বাইরে থেকে দেখা যায়নি। তবে গাড়িটি ডুবে যাওয়ার সময় চালকের সিটের পাশের জানালা দিয়ে চালককে দেখা যায়। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও অন্যান্য উদ্ধারকর্মী ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার শুরু করেন।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আবদুল মোন্নাফ আলী জানান, গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে ভেড়ানো ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি মাধবীলতায় ঢাকাগামী মাইক্রোবাসটি উঠতে যায়। এ সময় কালবৈশাখী শুরু হলে ঘাট থেকে পন্টুনের ডান পাশের তার ছিঁড়ে যায়। একই সঙ্গে পন্টুনের বাম পাশের খুঁটি ভেঙে পন্টুনটি পদ্মা নদীতে চলে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসটি ফেরিতে ওঠার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তার আগেই মাইক্রোবাসটি পেছনের দিকে গেলে সঙ্গে সঙ্গে পন্টুন থেকে সেটি নদীতে চলে যায়।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে আসে। পরে আমাদের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। এই উদ্ধারকাজে বিআইডব্লিউটিএ তাদের যন্ত্রপাতি ও জাহাজ দিয়ে সহযোগিতা করে। চালককে উদ্ধারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’