সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এমন কোন কিছু ফেসবুকে পোস্ট বা শেয়ার না করতে সরকারি কলেজের এসব শিক্ষকদের বলা হয়েছে। অধিদপ্তর বলছে, শিক্ষা ক্যাডারের কিছু সদস্য ব্যক্তিগত ফেসবুকওয়াল ও বিভিন্ন গ্রুপে সহকর্মী, প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে অশোভন ও অপ্রীতিকর মন্তব্য করে পোস্ট দিচ্ছেন। এ ধরণের কর্মকাণ্ড শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা ক্যাডারের ভাবমূর্তি ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। ফেসবুকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, কোন সরকারি সিদ্ধান্ত বা সহকর্মীদের নিয়ে অশোভন পোস্ট করলে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অধিদপ্তর।
মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কতিপয় সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ফেসবুকে তাদের ব্যক্তিগত ওয়ালে ও বিভিন্ন গ্রুপে সহকর্মী, অধ্যক্ষ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং কর্তৃপক্ষের নেয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচার বহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে শিক্ষা ক্যাডার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকার সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রকাশিত সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০১৬-এর পরিপন্থী।
অধিদপ্তর আরও বলছে, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের যেসব সদস্য ক্যাডারের নাম ব্যবহার করে গ্রুপ খুলেছেন, সেসব গ্রুপের সকল গ্রুপ অ্যাডমিনকে গ্রুপে কন্টেন্ট বা পোস্ট অনুমোদনের ক্ষেত্রে সরকারি আইন ও বিধি প্রতিপালনের নির্দেশ দেয়া হলো। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা যেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন সেসব প্রতিষ্ঠান প্রধান এ বিষয়টি মনিটরিং করবেন এবং শিক্ষ ক্যাডারের কোন সদস্য বা কোন ব্যক্তি কারো কন্টেন্ট বা পোস্টে সংক্ষুদ্ধ হলে কন্টেন্ট বা পোস্ট
প্রদানকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রমাণকসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করবেন।
এ অবস্থায় শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদেরকে এসব কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর। অন্যথায়, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০১৬ এর ৯ ধারা অনুযায়ী জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনরকম কন্টেন্ট, কোন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থী কোন কন্টেন্ট, রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আলোচনা-সংশ্লিষ্ট কোন কন্টেন্ট, বাংলাদেশে বসবাসকারী কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয় প্রতিপন্নমূলক কন্টেন্টা, কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয় প্রতিপন্ন করে এমন কন্টেন্ট, লিঙ্গ বৈষম্য সংক্রান্ত বিতর্কিত কোন কন্টেন্ট, জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন পোস্ট বা কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীরা প্রচার করতে পারবেন না।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।