পাকিস্তানে অগাস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষের (২০২২-২৩) পাঠ্যপুস্তক স্বল্পতার কারণে দেশটির প্রদেশ পাঞ্জাব জুড়ে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
পাঞ্জাব স্কুল শিক্ষা বিভাগ (এসইডি) বই মুদ্রণ বিলম্বের কারণে ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করতে পারেনি।
শুক্রবার (২৪ জুন) এ খবর জানা গেছে পাকিস্তানি সংবাদপত্র দ্য ডন এর এক প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পাঠ্যপুস্তক না পাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের কোনো হোমওয়ার্ক অ্যাসাইনমেন্ট ছাড়াই গ্রীষ্মকালীন ছুটির দুই মাস কাটাতে হবে(১ জুন থেকে ৩১ জুলাই)।
পাঞ্জাবের স্কুল শিক্ষা বিভাগ গ্রীষ্মের ছুটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য বই বিতরণ এবং হোমওয়ার্ক অ্যাসাইনমেন্ট পরিচালনা করার জন্য জেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষের অধীনে সকল নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ জারি করেছিল।
বিভাগটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, পাঞ্জাবের ২০২২-২০২৩ সালের জন্য সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলির জন্য শিক্ষাবর্ষ ১ আগস্ট, ২০২২ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত কার্যকর হবে করা হবে৷
পাঞ্জাব শিক্ষক ইউনিয়নের নেতা রানা লিয়াকত বলেন, কোনো পাঠ্যপুস্তক না থাকায় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য হোমওয়ার্ক দিতে পারেননি।
তিনি বলেছেন যে সরকার পরবর্তী ক্লাসে যাওয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বই সংগ্রহ করতে এবং গ্রীষ্মের ছুটির জন্য ব্যাকরণ এবং ইতিহাস সহ সাধারণ বিষয়গুলির হোমওয়ার্ক দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের পরামর্শ দিয়েছিল।
তা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা এখনও বইয়ের অভাবে ভুগছে। গত সপ্তাহে, টেক্সটবুক পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন (টিপিএ) উর্দু বাজারে কাগজের দাম বৃদ্ধির জন্য পেপার মিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল।
টিপিএ সদস্যদের ভেতর পবিত্র কুরআন এবং অন্যান্য ইসলামিক ও সাধারণ বইয়ের প্রকাশকও রয়েছে, তারা বলেছেন যে পেপার মিল মালিকরা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে দাম বাড়াচ্ছে এবং পাঠ্য এবং অন্যান্য বই প্রকাশ করা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এতে লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত হুমকির মুখে পড়বে বলে তারা সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেন, বইয়ের দাম বাড়ালে অনেক শিক্ষার্থী বই কিনতে পারবে না।
টিপিএ সভাপতি ফাওয়াজ নিয়াজ বলেছেন, যে কাগজকলগুলি গত মাসে কাগজের দাম প্রতি কেজি ১১২ থেকে ২৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, সেই বৃদ্ধি বইয়ের দামের উপর প্রতিফলিত হবে।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে বইয়ের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার কাগজের দাম নির্ধারণ করে থাকে, কিন্তু পাকিস্তানে এমন কোনো ব্যবস্থা নেই।
তিনি বলেন, সরকার দেশীয় প্রিন্টারের ওপর কর দ্বিগুণ করেছে, কিন্তু বিদেশি মুদ্রিত বইগুলোকে শুল্কমুক্ত করা হয়েছে, এটা অন্যায়।
তিনি আরও বো সংশোধনমূলক ব্যবস্থা না নিলে পাঠ্যবইয়ের দাম ব্যাপক হারে বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।