বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন - দৈনিকশিক্ষা

বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন

মাজহার মান্নান |

বাংলা মোদের মাতৃভাষা কি আছে তাহার মতো

শব্দে শব্দে মুক্তা ঝরে, প্রাণে আশা জাগায় কতো।

কবির এমন উপলব্ধির সঙ্গে আমরাও একমত। মায়ের ভাষার ওপরে কোনকিছুকে স্থান দেয়া যায় না। মায়ের ভাষার চেয়ে মধুর কিছুই হতে পারে না। বিশ্বে একমাত্র আমরাই আছি যারা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার সম্মান রক্ষা করেছি। মানুষ তার অনুভূতি, আকাঙ্ক্ষা এবং আবেগ তার মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করে এবং তাই মাতৃভাষা প্রতিটি মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। একজন মানুষ খুব সহজেই তার মাতৃভাষায় স্বপ্ন দেখতে পারেন, ভাবনা আদান-প্রদান করতে পারেন, যোগাযোগ করতে পারেন এবং অন্যের কাছে সুখ-দুঃখের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন। কেউ কখনো কারো মাতৃভাষা কেড়ে নিতে পারবে না।

পাকিস্তান সেই ঘৃণ্য চেষ্টা করেছিলো এবং তার মূল্য দিতে হয়েছিলো। ভাষা একটি জাতির সংস্কৃতির প্রাণ এবং পাকিস্তানের শাসক আমাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলো। পাকিস্তানের শাসকরা আমাদের মাতৃভাষাকে হত্যা করে আমাদের দাস   বানানোর পরিকল্পনা করে। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশ ভাগের কয়েক মাসের মধ্যেই পাকিস্তানের প্রথম মুদ্রা, স্ট্যাম্প, ট্রেনের টিকিট, পোস্টকার্ড ইত্যাদি থেকে বাংলা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র উর্দু ও ইংরেজি ব্যবহার করা হয়। এর ফলে ঢাকায় ছাত্র ও বুদ্ধিজীবী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয় এবং ছাত্র আন্দোলনের  নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন জনপ্রিয় ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানে বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা উর্দুভাষী মানুষের সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি ছিলো। কিন্তু ২১ মার্চ, ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে , মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেছিলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা এবং তার ঘোষণা ছিলো বাঙালিদের কাছে বজ্রপাতের মতো। ১৯৪৭ থেকে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলন চলছে। কিন্তু ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের অ্যাসেম্বলিতে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে আন্দোলন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।

পূর্ব বাংলার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও, খাজা নাজিমুদ্দিন ১৯৫২  খ্রিষ্টাব্দের ২৭ জানুয়ারী পল্টনে একটি সমাবেশে জিন্নাহর বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন। সমাবেশে উপস্থিত লোকেরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। ২৮ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানে স্বতঃস্ফূর্ত ধর্মঘট ও বিক্ষোভ শুরু হয়।

২১শে ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘট ঘোষণা করা হয়েছিলো এবং ধর্মঘট প্রতিরোধে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু ছাত্ররা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে মিছিল করলে পুলিশ তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে অনেকের মৃত্যু হয়। পুলিশের গুলিতে নিহত হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, সফিউরসহ আরও অনেকে। ২৫ ফেব্রুয়ারি (১৯৪৮) উর্দু এবং ইংরেজিকে পাকিস্তানের গণপরিষদের সরকারী ভাষা করা হয়। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ভাষা হিসেবে ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে গণপরিষদের ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার প্রস্তাব করেন। তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং প্রতিবাদ শুরু হয়। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ (জাতীয় ভাষা অ্যাকশন কমিটি) গঠিত হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি (১৯৪৮) । বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ১১ মার্চ দেশব্যাপী হরতাল পালিত হয়। ভাষা আন্দোলন মূলত করাচি সাহিত্য সম্মেলনের পর ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের  ডিসেম্বরে শুরু হয়। সম্মেলনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র সম্মেলনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান ও প্রতিবাদ জানায়।

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে ২১ দফা দাবি নিয়ে একটি ইশতেহার তৈরি করা হয়। ২১ দফার মধ্যে দ্বিতীয়টি ছিলো বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এই ইশতেহার প্রণয়নে শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যাপক ভূমিকা ছিলো এবং তিনি স্বাক্ষরকারীদের একজন ছিলেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় গণতান্ত্রিক যুবলীগ গঠিত হয় এবং সেই সম্মেলনে ভাষা সংক্রান্ত কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমান কমিটিতে গৃহীত প্রস্তাবগুলো পাঠ করেন। প্রস্তাবের সারমর্ম ছিলো, পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাকে লেখার মাধ্যম এবং আদালতের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।মাতৃভাষা প্রেমিক শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৪৮-তে  রাজপথ আন্দোলনের সূচনা পর্বে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং কারাবরণ করেন। পরবর্তীতে আইনসভার সদস্য হিসেবে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অতুলনীয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে  ডিসেম্বরে, শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সভা আহ্বান করেন এবং তমুদ্দিন মজলিসসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠন সভায় যোগদান করে এবং একটি সংগঠন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ (জাতীয় ভাষা অ্যাকশন কমিটি)। সেই সভায় ১১ মার্চকে ভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম নেতা..যিনি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদে বাংলা ভাষার দাবির সমর্থনে স্বাক্ষর সংগ্রহের অভিযানে যোগ দেন। সে সময় ঢাকার মোগলটুলীতে প্রগতিশীল ছাত্র সমাজ নিয়ে ওয়াকারস ক্যাম্প গঠিত হয় এবং এই ক্যাম্পের সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো এবং এই ক্যাম্প থেকেই ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া হয়।

শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ছাত্রলীগ ১০টি দাবি জানায়, যার মধ্যে একটি ছিলো বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ২ মার্চ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ সংস্কার করা হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমান এবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শেখ মুজিবুর রহমান ১১ মার্চ (১৯৪৮) গ্রেফতার হন এবং এটি তার জীবনের একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিলো। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন শুরু হয়। ১৫ মার্চ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ও খাজা নাজিমুদ্দিনের মধ্যে একটি ৮-দফা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে কারাগারে আটক ভাষা আন্দোলনকারীদের দেখানো হয় এবং অনুমোদন নেওয়া হয়। অনুমোদনের পর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। শেখ মুজিবুর রহমান চুক্তির শর্ত দেখেন এবং অনুমোদন করেন। ঐতিহাসিক এই চুক্তির ফলে বাংলা ভাষাকে সর্বপ্রথম শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং চুক্তির শর্তে শেখ মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়। ১৫ মার্চ সরকার কিছু রাজবন্দীর মুক্তিতে আপত্তি জানায় এবং শেখ মুজিবুর রহমান তীব্র প্রতিবাদ করেন। ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং এর নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৭ মার্চ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয় এবং এর নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ তোহা, নঈম উদ্দিন আহমদ, শওকত আলী, আবদুল মতিন, শামসুল হক এবং অন্যান্য যুব নেতাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে ভাষা আন্দোলন সমগ্র পূর্ব বাংলায় গণআন্দোলন হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে। ৪ জানুয়ারি (১৯৪৮) শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রদের নিয়ে ছাত্রলীগ নামে একটি সংগঠন গঠন করেন এবং এই সংগঠনের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের যাত্রা শুরু হয়। ভাষার জন্য লড়াই করতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান একাধিকবার গ্রেফতার হন। শেখ মুজিবুর রহমান ১১ মার্চ রাজপথে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং সেখান থেকেই গ্রেফতার হন। তিনি ১১ মার্চের পুরো হরতাল কর্মসূচির রূপরেখা দেন। সে সময় গোয়েন্দাদের দেওয়া গোপন রিপোর্টে এটা স্পষ্ট হয় যে, শেখ মুজিবুর রহমান ১১ মার্চ ধর্মঘটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যখন ঘোষণা করেন যে উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, তখন শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ছাত্ররা সঙ্গে সঙ্গে 'না, না, না' বলে চিৎকার করে উঠলেন। আর এরপর থেকে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আর কখনো এ ধরনের বক্তব্য দেননি।

১৫ মার্চ তিনি মুক্তি পান এবং ১৬  মার্চ তিনি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের (জাতীয় ভাষা অ্যাকশন কমিটি) সভায় সভাপতিত্ব করেন এবং ভাষা আন্দোলনকে সামনের সারিতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জোরালো দাবি তোলেন এবং জনমত গঠনে তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করেন। কারাগার থেকে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে মাতৃভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে সোহরাওয়ার্দীকে বোঝান এবং অবশেষে সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার সমর্থনে বিবৃতি দেন। শেখ মুজিবুর রহমানের মাতৃভাষার প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ছিলো এবং সে কারণে তিনি মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য টানা ১৭ দিন কারাগারে অনশন করেন এবং ফলস্বরূপ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ১৯৪৮ থেকে যে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা ১৯৫২  খ্রিষ্টাব্দে শেষ  হয়েছিলো।

১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কারাগারে থাকায় তিনি সরাসরি আন্দোলনে অংশ নিতে পারেননি।তবে কারাগার থেকেই তিনি তার অনুসারীদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছিলেন। বাংলা ভাষার বিকাশে বঙ্গবন্ধুর অবদান অপরিসীম। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা এবং সব স্তরে বাংলা প্রবর্তনে তাঁর অবদান অনন্য। সংসদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে বাংলা ভাষা প্রবর্তনে তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে একুশের প্রথম বার্ষিকী উদযাপনে শেখ মুজিবুর রহমানেরও বিশাল ভূমিকা ছিলো এবং তিনি একুশে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসাবে ঘোষণা করার আহ্বান জানান। যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রী হিসেবে তিনি বাংলা ভাষার উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের   ২৭ জানুয়ারী বিধানসভার অধিবেশনে তিনি সংসদের প্রতিদিনের কার্যক্রম বাংলায় ছাপানোর দাবি জানান। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১  ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বলেন, ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের  ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো না, এটি ছিলো সামাজিক-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এই মহান নেতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলা ভাষা ও বাংলা ভাষাভাষীদের পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি ১৯৭২  সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করেন। ১৯৭৪  খ্রিষ্টাব্দের  ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেন। ১২ মার্চ, ১৯৭৫ তারিখে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান অফিসে বাংলা ভাষা প্রবর্তনের জন্য প্রথম আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করেন।

আমাদের রাষ্ট্রভাষা দিবস এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে UNESCO ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ভাষা আন্দোলনকে বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জাতি হিসেবে আমাদের জানতে হবে এবং বুঝতে হবে..কীভাবে বাংলা রাষ্ট্রভাষা হয়ে ওঠে  এবং এতে শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভূমিকা কী ছিলো।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, বিএএফ শাহীন কলেজ, ঢাকা।

নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032968521118164