প্রান্তিক ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কাছে সবসময়ই আশার আলো তিনি। প্রত্যন্ত হাওরের একমাত্র নারী নেত্রী হিসেবে জীবনভর মানুষের সেবা করে এসেছেন। তারই স্বীকৃতি হিসেবে এবার তার হাতে উঠেছে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ পদক। তাঁর নাম আছিয়া আলম। বহু দিন ধরেই তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। প্রত্যন্ত হাওরের এই নিবেদিত প্রাণ সমাজসেবী বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছোট বোন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের মা।
রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সমাজসেবা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ জাতীয় পদক ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ পদক দেওয়া হলো। আছিয়া আলমকে এই পদক দেওয়া হলো সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য।
গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পক্ষ থেকে পদক তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
আছিয়া আলম ছাড়াও ছাড়াও এবার রাজনীতিতে সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, অর্থনীতিতে সেলিমা আহমেদ, শিক্ষা ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপ-উপচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আশালতা বৈদ্য এ পদক পেয়েছেন।
পদকপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে নির্মিত পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, চার লাখ টাকা ও সম্মাননাপত্র দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে নেপথ্যের কারিগর ছিলেন। বঙ্গমাতার অবদান স্মরণীয় করার লক্ষ্যে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সরকার এই পদক চালু করেছে।