বদলি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিড়ম্বনা, দ্রুত আদেশ জারির দাবি - দৈনিকশিক্ষা

বদলি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিড়ম্বনা, দ্রুত আদেশ জারির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির আবেদন গ্রহণ করা হলেও করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে আদেশ জারি না হয়নি। এ নিয়ে শিক্ষকদের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। প্রায় এক বছর আগে বদলির প্রয়োজনীয়তা অনুভব এরপর নির্ধারিত সময়ে আবেদন করেছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু বদলির বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় শিক্ষকদের নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করে শিক্ষকদের বদলির আদেশ জারি করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

প্রচলিতভাবে প্রতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির আবেদন গ্রহণ করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। স্বামী বা স্ত্রী সরকারি কর্মচারী হলে তার কর্মস্থলের নিকটতম এলাকায় বদলির সুবিধা পেয়ে থাকেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে বদলির আবেদন করতে হয়। 

বদলির আবেদন করা একাধিক শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সকল কারণ উল্লেখ করেই বদলির আবেদন করেছিলাম। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছিল। মাঠ পর্যায়ে পদের চাহিদা চেয়েছিল অধিদপ্তর। সে হিসেবও অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি মধ্যে বদলির আদেশ জারি হয়নি।

শিক্ষকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, মহামারি চললেও জীবন থেমে নেই। অনেক মহিলা শিক্ষক আছেন যাদের স্বামী অন্য এলাকায় চাকরি করেন। তার বদলির সব কারণ বিধিসঙ্গত ও যৌক্তিক। তিনি আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু বদলির আদেশ জারি হয়নি। স্কুল বন্ধ কিন্তু সরকারি আদেশ অনুসারে এই শিক্ষককে নিজ কর্মস্থলে থাকতে হচ্ছে। এতে তার স্বাভাবিক ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে৷ কিন্তু বদলির আদেশ জারি হলে এই শিক্ষকরা পরিবার নিয়ে থাকতে পাড়তেন।

তাই, এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিক্ষকরা আরও বলেন, শিক্ষকদের বদলির যৌক্তিক আবেদনগুলো বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত আদেশ জারি করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে অনুরোধ করছি। যতদূর জানি, বদলির সব প্রক্রিয়া শেষ, শুধু আদেশ জারির অপেক্ষা।

বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অভিন্ন কর্মঘণ্টা, বই, বেতনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশের প্রাথমিক শিক্ষা। এরমধ্যে শিক্ষকদের বদলি আটকে রাখা উচিত নয়। দ্রুত শিক্ষকদের বদলি বিষয়টি নিষ্পত্তি করার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবদুস সবুর মিয়া দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেও শিক্ষকদের বদলির আদেশ জারি না হওয়ায় তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। তাদের পারিবারিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।  করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে স্কুল কলেজ কবে খুলবে তাও বলা যাচ্ছে না। তাই, দ্রুত শিক্ষকদের বদলির আদেশ জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। আশা করছি মহাপরিচালক স্যার বিষয়টি নজরে নিয়ে শিক্ষকদের বদলির আদেশ জারির ব্যবস্থা করে দেবেন।

প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038771629333496