পরিবেশ সুরক্ষায় পাহাড় কাটা, বনভূমি দখলদারদের উচ্ছেদ ও বৃক্ষ নিধন বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী। বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। অধিবেশন শেষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এসময় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন এবং প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, বনভূমিকে রক্ষা করা, পরিবেশ সুরক্ষা করা এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পেতে জেলা প্রশাসকদের অনেক সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। সেই বিষয়ে আমরা ওনাদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার জন্য টিলা কাটা, পাহাড় কাটা, বৃক্ষ নিধন এগুলোকে বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। বনভূমি যাতে কোনো অবৈধ দখলদার দখল করতে না পারে এবং অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার বিষয়ে আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি।
পরিবেশমন্ত্রী আরও জানান, দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে ইতঃপূর্বে জেলা প্রশাসকদের আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয়া হয়েছে। সেখানে কোন এলাকায় কি পরিমাণ জমি বেদখল রয়েছে তার পূর্ণ তথ্য রয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে সরকারি স্থাপনায় ইটের পরিবর্তে শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহারের লক্ষ্য রয়েছে। প্রাণী সংরক্ষণ ও জীববৈচিত্র্যের কথাও তাদের বলেছি। সবক্ষেত্রে ডিসিদের সহযোগিতার প্রয়োজন আছে। তাই আমরা তাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছি।
বনভূমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনার বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ১৬ শতাংশ বনভূমি গড়ে তোলা। এসডিজি অর্জনের জন্য ১৬ শতাংশ আচ্ছাদিত বন আমাদের দেখাতে হবে। ১৬ শতাংশ বনায়নের জন্য আমরা ডিসিদের সহযোগিতা চেয়েছি। বর্তমানে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ বন রয়েছে। সামাজিক বনায়নের ক্ষেত্রে আমরা তো ২২ শতাংশের ওপরেই আছি।