নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের কলোনিতে ২ হাজার পরিবারের বসবাস। তাদের সন্তানেরা কলোনিতে অবস্থিত আদমজী উম্মুল ক্বোরা হাই স্কুলে মাধ্যমিকের গণ্ডি শেষ করে। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক রিলিফ অর্গানাইজেশনের (আইআইআরও) অনুদানে চলত স্কুলের কার্যক্রম। কিন্তু গত ৩২ মাস (২ বছর ৮ মাস) ধরে অনুদান বন্ধ রয়েছে। যার কারণে শিক্ষক-কর্মচারীরা কোনো বেতনভাতাও পাচ্ছেন না। তাই স্কুলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা শিক্ষকদের।
শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্কুলটিতে শিক্ষার্থী রয়েছে ৯৯৫ জন। প্রধান শিক্ষকসহ ১৪ জন শিক্ষক এবং একজন পিয়ন ও একজন দারোয়ানের বেতন সংস্থাটি দিয়ে আসছিল। এমনকি সংস্থার কাছ থেকে শিক্ষার্থীরাও শিক্ষা উপকরণসহ নানা সুযোগ-সুবিধা পেত। কিন্তু ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১৬ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বকেয়া হয়। এই বকেয়া রেখেই ২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন চলমান রাখে সংস্থাটি। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবার বেতন বকেয়া হয়।
জানা গেছে, ৩২ মাসের বেতনভাতা বকেয়া রেখেই সংস্থার পক্ষ থেকে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা আর কোনো অনুদান দিতে পারবে না। তবে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
কথা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাকিম জয়নুল আবেদীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সংস্থা থেকে আমাদের ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতন দেওয়া হতো। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে খণ্ডকালীন আরও ৯ জন শিক্ষক আমরা যুক্ত করেছি। তাঁদের বেতন শিক্ষার্থীদের সামান্য বেতন থেকে পরিশোধ করা হয়।’
জেলা শিক্ষা অফিসার শরীফুল ইসলাম বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে ডিসি স্যার ভালো বলতে পারবেন।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা যদি বিষয়টি আমাদের নজরে আনে, তাহলে আমরা ওয়ার্কপ্ল্যান করে দেখতে পারি।’