দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে চান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) প্রায় ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্ব-উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'লিংকার ইন বরিশাল ইউনিভার্সিটি' নামে ফেইসবুক গ্রুপে এ জরিপ চালানো হয়।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
গত ২৭ জুন থেকে শুরু হওয়া জরিপে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সব বিভাগের ১০১৪ শিক্ষার্থী অংশ নেন। এতে অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ৮৭.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী এবং অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে ১২.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাস্টার্সের ১৪ শতাংশ, স্নাতক শেষ বর্ষের ১৩ শতাংশ, তৃতীয় বর্ষের ১২.৫ শতাংশ এবং প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের যথাক্রমে ৩৩.৪ ও ১৯.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী মতামত প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম আশিক বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যেই কোভিডকালীন বিকল্প হিসেবে অনলাইনের ইয়ার ফাইনাল এবং সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নিয়ে নিচ্ছে। এর মধ্যে ঢাবি, জাবি, খুবি, নোবিপ্রবি, বুয়েট এবং বিইউপি উল্লেখযোগ্য।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহু শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিতে দেখেছি। তাই আমরা আশা করছি, এবারও তারা অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষা আয়োজনের মাধ্যমে সেশনজট নামক এ অভিশাপ থেকে আমাদের মুক্ত করবেন। এটি এখন অনেকাংশেই সম্ভব। যেহেতু অনলাইনে ইন্টারনাল পরীক্ষায় শতভাগ উপস্থিতি আমরা লক্ষ করেছি।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুন নাহার মিশু বলেন, আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি, এখন অনলাইনে হলেও আমাদের পরীক্ষা নিয়ে দ্রুত কোর্স শেষ করা উচিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুহাম্মদ মুহসীন উদ্দীন বলেন, আমাদের একটি কমিটি ইতোমধ্যে রয়েছে, তারা প্রাথমিকভাবে অনলাইনে মিডটার্ম, ভাইভা পরীক্ষার বিষয়ে সুপারিশও করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কমিটি আবার বসে ফাইনাল পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে তারা কাজ করবে।
উল্লেখ্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থগিত হওয়া সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সশরীরে নেয়া শুরু হয়। ওই দিন দুটি বিভাগের পরীক্ষা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর যেসব বিভাগে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত হয়েছিল, সেগুলো নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কমিটি। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৭ জুন থেকে সব বিভাগের সশরীরে পরীক্ষা নেয়া স্থগিত করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে অনলাইনে ক্লাস, মিডটার্ম ও মৌখিক পরীক্ষা চলমান রয়েছে।