বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ একযোগে কাজ করবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করে হাইকমিশনার বলেন, প্রযুক্তি হস্তান্তর, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ক্লিন এনার্জি, জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমণমূলক কর্মকাণ্ড প্রভৃতি ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন এবং অস্ট্রেলিয়ার এক প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সিভিএফ এবং ভি ২০ এর সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ উন্নত এনডিসি প্রণয়ন করেছে ও মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ঘোষণা করেছে এবং ন্যাপ প্রণয়নের কাজ চলমান আছে।
পরিবেশমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবে1লায় ঝুঁকিপূর্ণ দরিদ্র দেশগুলোতে ধনী দেশগুলোর প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানসহ প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অন্যান্য বিষয়ে বিশ্ব নেতারা ঐক্যমতে পৌঁছাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।