সাইনবোর্ড ও নামফলকে বাংলা লেখা নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তারা। পাঁচ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ ও রামপুরা এলাকায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ সময় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট আইনে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানান, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত সাইনবোর্ড বাংলা ভাষায় না লেখায় ১০টি ভবন ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে। এর মধ্যে আহমেদ টাওয়ার, এ আর টাওয়ার, সফুরা টাওয়ার, ইরেকার্ট হাউজ, বোরাক টাওয়ার, এসুরেন্স, ভিশন কেয়ার, মটকা কিচেন, চাটাই প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা এবং আরো দুই প্রতিষ্ঠানকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া তিনটি ব্যাংককের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
তারা জানান, এসব ভবন ও প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড অপসারণ করে বাংলা ভাষায় প্রতিস্থাপন করার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়। যেসব ব্যাংক এই সাত দিনের মধ্যে নিজেদের সাইবোর্ডে বাংলায় করবে তা হলো- ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক।
এ ছাড়া ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করার অপরাধে একটি ফুলের দোকানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই সময় কামাল আতাতুর্ক এভিনিউতে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট নয় হাজার টাকা জরিমানা করে।
ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানান, সাইনবোর্ড বাংলা ভাষায় না লেখায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ রামপুরা এলাকায় ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং পাঁচ প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে আল কাদেরিয়া হোটেলকে ১০ হাজার, এসকোয়ার ইলেক্ট্রনিক্সকে পাঁচ হাজার, অরেঞ্জ ফার্নিচারকে পাঁচ হাজার, রানার মোটরসাইকেলের দোকানকে ১০ হাজার, বোলিং জুতার দোকানকে ১৫ হাজার, ভিবো মোবাইল ফোনের দোকানকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলায় সাইনবোর্ড প্রতিস্থাপনের জন্য এক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়।
তারা বলেন, যে পাঁচ প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে ফেস জামা-কাপড়ের দোকান, ফিশারম্যান খাবার দোকান, রেমন্ড কাপড়ের দোকান, টারগেট কাপড়ের দোকান ও ভিবো মোবাইল ফোনের দোকান।
এ ছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত ফেরদৌসের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত রামপুরা এলাকায় ক্রিসেন্ট সুপার শপকে ১০ হাজার ও স্প্যান জুতার দোকানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সাইনবোর্ড বাংলায় না লেখায় রামপুরায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পার্শিয়া সুলতানা পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এর মধ্যে ট্রান্সকম ইলেক্ট্রনিক্স, নাদিয়া ফার্নিচার ও ব্রাদার্স ফার্নিচার প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।