পলাতক বাচ্চু রাজাকারের ভক্তদের দখলে সরকারি আনন্দমোহন কলেজ। অধ্যক্ষ পদেও যুক্ত হয়েছেন একজন বাচ্চুভক্ত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা। গত সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যক্ষ পদে পদায়ন দিয়ে আদেশ জারি করার পর গোটা ময়মনসিংহ এলাকায় সুধীসমাজে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
সংক্ষুব্ধরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, বিএনপি-জামাত সরকারের সময় ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে যারা কলেজে এনে সংবর্ধনা দিয়েছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বানিয়ে শিক্ষার্থীদের বক্তৃতা শুনিয়েছেন, সেইসব রঙিন ছবি পরম যত্নে সংরক্ষিত করেছেন তারাই এখন পুরস্কৃত হয়েছেন।
সেই জামাতীপন্থীদের একজন এখন আওয়ামীলীগার সেজে আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন পাওয়ায় এলাকার ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। নবনিযুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জামাতি শিক্ষাসচিব শহিদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. হাসানুজ্জামান চৌধুরীপ্রীতিও সর্বজনবিদিত। ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে সচিবের দাপটে সিনিয়রদের টপকিয়ে শিক্ষক পরিষদের নেতৃত্ব দখলে নেওয়ার অভিযোগ বর্তমান অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, অধ্যক্ষ প্রফেসর আমানুল্লাহর চাকরি জীবনের ২৬ বছরের ২৫ বছরই আনন্দ মোহন কলেজে কাটিয়েছেন
আওয়ামীলীগ পরিবারের সিনিয়র অধ্যাপক থাকতেও জামাতপন্থী জুনিয়র প্রফেসরকে অধ্যক্ষ করায় হতবাক অনেকেই।
শতবর্ষী এই কলেজটিতে শত বছর ধরেই সিনিয়র প্রফেসরদের অধ্যক্ষ করার রেওয়াজ রয়েছে।
আনন্দমোহন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, আমানুল্লাহকে অধ্যক্ষ পদায়নের আদেশ দেখার পর শিক্ষাসচিব ও উপসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। অবিলম্বে আদেশটি বাতিল করার দাবি জানিয়ে তারা আওয়ামী লীগের উপরিমহলে লিখিত আবেদন করেছেন।
সার্বিক বিষয়ে অধ্যক্ষ আমানুল্লাহর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।