জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নিরাপত্তাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার নিরাপত্তাকর্মী আমিনুর রহমান শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জাবির বাংলা বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের মির্জা সোহাগ। তিনি শহীদ রফিক জব্বার হলের আবাসিক ছাত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া অভিযোগপত্রে আমিনুর রহমান বলেন, প্রধান ফটকে দায়িত্বরত অবস্থায় বহিরাগত এক মেয়ে এসে আমার হাতে একটা ফোন ধরিয়ে দেয়। আমি তাকে সালাম দিলে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় উনাকে (বহিরাগত মেয়ে) ভেতরে যেতে দিতে। এ সময় বলি বহিরাগত প্রবেশে নিষেধ আছে। তাই আমাদের সজল স্যারকে ফোন দিতে বলি। কিন্তু তিনি আমাকে হুমকি দিয়ে ফোন রেখে দেন। পরে কয়েকজনকে সঙ্গে এনে মারধর করেন। এক পর্যায়ে ভয়ে রুমে আশ্রয় নেয়। কিন্তু তিনি আমোকে রুমের ভেতর থেকে বের করে এনে মারধর করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মির্জা সোহাগ বলেন, তাকে আমি আমার বান্ধবীকে ভিতরে ঢুকতে দিতে বললে সে রাজি হয়নি। তাই সেখানে গিয়ে কারণ জানতে চাইলে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আমি তাকে লাথি মারি। কিন্তু তাকে আমি মারার উদ্দেশ্যে লাথি মারিনি। পরে ঘটনাস্থলে এক শিক্ষক আমাকে চলে যেতে বললে আমি চলে আসি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, অভিযোগপত্র এখনও পাইনি। তবে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগপত্র পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে যা হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বন্ধ ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ করানোর জন্য ওই ছাত্র যা করেছে তা ছাত্র শৃঙ্খলা পরিপন্থী। অতিদ্রুত ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সভা ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।