করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা ছাড়া ১২ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে না। নতুন বছরের শুরুতে দেশে হঠাৎ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনতে শুরু হয়েছে তোড়জোড়।
শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে এনআইডির বাধ্যবাধকতা তুলে শুধু জন্মসনদের নম্বর দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে তাদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেয়া হয়েছে৷ তবে, এরপরও দেখা যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই। যদিও স্কুলে ভর্তির সময় জন্ম নিবন্ধন সনদ থাকা বাধ্যতামূলক। আবার ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের পর জন্ম নেয়া নাগরিকদের জন্ম নিবন্ধনে সফটওয়্যারে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিতে হলেও দেখা যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীর বাবা-মায়েরও জন্ম নিবন্ধন নেই।এমন পরিস্থিতিতে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়াই শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের দেয়া সনদের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের দ্রুততম সময়ে জন্ম নিবন্ধন করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তবে, এ ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে তাদের দ্রুত টিকার আওতায় আনতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে বিষয়টি জানিয়ে সব জেলা-উপজেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
গত বুধবার ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. ওসমান ভূইয়া স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১২-১৮ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের করোনার ভ্যাকসিন দিতে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন কাজ শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়ে ভর্তির সময় জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হলেও এখনো অনেক শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই। অথচ সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দিতে জন্ম নিবন্ধন আবশ্যক। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের পর জন্ম নেয়া শিশুর জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বিডিআরআইএস সফটওয়্যারে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দেয়ার বিধান আছে।
নির্দেশনা আরও বলা হয়েছে, ১২-১৮ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দিতে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-২ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন ছাড়াই শিক্ষার্থীদের জন্ম নিবন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে ১২-১৮ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দিতে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের দেয়া সনদের ভিত্তিতে প্রয়োজনে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন ছাড়াই ন্যূনতম সময়ে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়। তবে পরবর্তীতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাবা-মায়ের জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষা ডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।