যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বালুর গর্তের পানিতে ডু্বে ছয় বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থী মারা গেছে। শিশুটির নাম আশা খাতুন। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মশরহাটী গ্রামে একটি বালুর গর্তের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু হয়।
আশা খাতুন অভয়নগর উপজেলার মশরহাটী গ্রামের মানিক শেখের মেয়ে। সে উপজেলার আহম্মদ আলী সরদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
প্রতিবেশী মোশাররফ হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, উপজেলার মশরহাটী গ্রামের মধ্যে এক বালু ব্যবসায়ী ভৈরব নদ খননের বালু স্তুপ করে রেখেছিলেন। তিনি সেখান থেকে বালু অন্যত্র বিক্রি করেছেন। এজন্য ওই জায়গাটা গর্ত হয়ে আছে। গত দুইদিন আগে বৃষ্টির পানিতে গর্তটি ভরে রয়েছে। আশা এবং আরও দুটি শিশু বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে খেলছিল। দুপুর দেড়টার দিকে আশা পানিতে ডুবে যায়। অপর শিশু দুটি দৌড়ে বাড়িতে এসে খবর দেয়। এরপর এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় গর্তের পানি থেকে ভাসমান অবস্থায় আশাকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তাদির হক শুভ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
শিশুটির বাবা মানিক শেখ বলেন, বালু ব্যবসায়ীর তৈরি করা গর্তের পানিতে ডুবে আমার মেয়ে আজ চলে গেলো। যখন বালু ব্যবসা শুরু করা হয় তখন আমরা এর বিরোধিতা করেছিলাম। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ওই বালু ব্যবসায়ী কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। আমার মেয়ে আজ সেই গর্তেই ডুবে মারা গেছে।