বিচারককে স্কুলে ডাকা হয়নি, তিনি নিজেই এসেছিলেন - দৈনিকশিক্ষা

বিচারককে স্কুলে ডাকা হয়নি, তিনি নিজেই এসেছিলেন

বগুড়া প্রতিনিধি |

অভিভাবককে অপদস্থ করার অভিযোগে বদলি হওয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বা অন্য কেউ ডাকেননি। তার মেয়েকে ‘উত্ত্যক্তকারী’ সহপাঠীদের বিচার চাইতে তিনি নিজেই স্কুলে এসেছিলেন।

প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তার অগ্নিমূর্তি ও সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আবদুল মোন্নাফ মামলার ভয়ভীতি দেখানোর কারণে এক অভিভাবক সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিচারকের পা ধরতে যান। এসব তথ্য জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন এবং অভিভাবক রেবেকা সুলতানা।

বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনের উল্লিখিত বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুন বৃহস্পতিবার বলেন, তদন্তাধীন বিষয়ে তিনি কোনো কিছু বলবেন না।

একপর্যায়ে তিনি কয়েকটি প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিচারক তার মেয়েকে ‘উত্ত্যক্তকারী’ সহপাঠীদের বিচারের জন্য লিখিত আবেদন করেন। সেদিন তাকে কেউ ডাকেননি। তিনি নিজের ইচ্ছায় স্কুলে এসেছিলেন। এ সময় তিনি খুব এক্সসাইটেড ছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা সাইবার মামলার ব্যাপারে কথা বললে শিক্ষার্থী মরিয়ম মাহীর মা রেবেকা সুলতানা ভয় পান। তখন তিনি মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা বরে বিচারকের পা ধরতে যান। অবশ্য এ সময় অপর একজন অভিভাবক তাকে নিবৃত্ত করেন। এছাড়া বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে কোনো শিক্ষক, জজ বা অন্য কেউ রেবেকা সুলতানাকে পা ধরতে বাধ্য করেননি। পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনে বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন অভিযোগ করায় পুলিশ কর্মকর্তা মোন্নাফ এসেছিলেন।’

এ প্রসঙ্গে স্কুলের শিক্ষার্থী মরিয়ম মাহীর মা রেবেকা সুলতানা বলেন, ‘আমি ঘটনার দিন প্রকাশ্যে সব বলেছি। পরিস্থিতির কারণে ও সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমি বিচারকের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হই। এছাড়া শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার সময় তার মেয়ে মরিময় মাহী বা অন্যরা বিচারকের মেয়েকে উত্ত্যক্ত বা কটূক্তি করেনি।’

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0062479972839355