বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের এ কি কাণ্ড! - দৈনিকশিক্ষা

বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের এ কি কাণ্ড!

মাছুম বিল্লাহ |
একটি জাতীয় দৈনিকে একবার একজন শিক্ষাবিদ বড় একটি কলাম লিখেছিলেন শুধুমাত্র কলেজ শিক্ষকদের নিয়ে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ‘শিক্ষাদান পেশায় নিয়োজিত বাংলাদেশের কলেজ শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে আছেন, সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছেন।’ তিনি তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন চমৎকারভাবে। গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা। তিনি সঠিকভাবেই লিখেছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার জন্য কিংবা নিয়োগ পাওয়ার পর শিক্ষকদের পিটিআই ট্রেনিং নিতে হয়। সবাই যদিও সেটি ভালোভাবে কিংবা যত্নসহকারে আত্মস্থ করতে পারেন না, তবে মোটামুটি বাচ্চাদের কিভাবে পড়াতে হয় তার সঙ্গে পরিচিত হয়ে যান।মাধ্যমিক শিক্ষকদের জন্য রয়েছে ‘শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়,’ যেখানে তাদের বড় একটি অংশ প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন, যার সময়কাল দশমাস অর্থাৎ প্রায় একবছর।এখানেও সবাই ডেডিকেটেডলি প্রশিক্ষণ গ্রহণ না করলেও মোটামুটি শিক্ষা বিষয়ের সঙ্গে কিছুটা হলেও পরিচিতি লাভ করেন। গত এক দশক বা তারও বেশি সময়কালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রজেক্টের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচেছ। ফলে এই দুই পর্যায়ের শিক্ষকরা  ‘পেডাগজি ও এন্ডাগজি’ সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা পেয়ে গেছেন। কেউ কেউ আবার নিজেদের প্রচেষ্টায় বিষয়গুলো জেনেছেন। কলেজ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই, কিছুকাল হলো কলেজ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য কয়েকটি  ইনস্টিটিউট করা হয়েছে, কিন্তু প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের মতো তাদের প্রশিক্ষণ অতটা নিবিড় কিংবা বাধ্যতামূলক নয়। তবে কিছু কিছু কলেজ শিক্ষক নিজেদের প্রচেষ্টায় আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিতি লাভ করেন।ব্যাপকহারে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের মতো পেশাগত উন্নয়নের সেই সুযোগ তাদের নেই। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বেশ কিছু শিক্ষক দেশের বাইরে কয়েকটি দেশে, ইউরোপ ও আমেরিকার মতো উন্নত দেশে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন সরকারি বিভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমে এবং ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে।কলেজ শিক্ষদের এ ধরনের তেমন কোন ব্যবস্থা ছিল না, এখনও সেই অর্থে খুব একটা নেই।তবে জুলাই ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট।’ বাস্তবায়নকারী সংস্থা হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।অন্যান্য সহযোগী সংস্থাগুলো হচ্ছে মাউশি অধিদপ্তর, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, নায়েম, ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহাম- মালয়েশিয়া ক্যম্পাস।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোর শিক্ষাদান পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, বাস্তবায়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলী পরিবীক্ষণ করা এবং পরবর্তী ধাপের কর্মকাণ্ডের জন্য এর ভীতকে মজবুত করা এ প্রজেক্টের কাজ।কলেজ শিক্ষাকে যুগোপযোগী করা, শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল উন্নত করা এবং শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করা এর উদ্দেশ্য।দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২২০০ টির বেশি সরকারি-বেসরকারি কলেজ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে যেগুলোতে অনার্স পড়ানো হয় এমন ১২২টি সরকারি-বেসরকারি কলেজের টিচিং-লার্নিং অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো, প্রয়োজনের নিরিখে একাডেমিক উন্নয়নের জন্য ১৬ হাজার ৫০০ শিক্ষক, ব্যবস্থাপক ও ভবিষ্যত নেতাদের জন্য উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এই প্রজেক্টের একটি অন্যতম কাজ।সরকারি কলেজগুলোর ২ হাজার ৭০০ পদ পূরণ করা আর একটি কাজ।
 
এই প্রজেক্টের আওতায় মালয়েশিয়ার নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করতে গিয়েছিলেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ শিক্ষকরা।কিন্তু বিদেশে মাস্টার্স করতে গিয়ে অ্যাসানইনমেন্ট লিখতে দেখাদেখি বা চুরি করেছেন শিক্ষকদের কেউ কেউ।কেউ আবার অ্যাসাইনমেন্ট জমা না দিয়ে ‘মাস্টার্স অব আর্টস ইন এডুকেশন’ থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন।অ্যাসাইনমেন্ট চুরি ও অ্যাসাইনমেন্ট জমা না দিয়ে কোর্স থেকে বহিস্কৃত পাঁচজন সরকারি কলেজ শিক্ষককে শাস্তি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের পাঁচজন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তার বেতন বৃদ্ধি স্থায়ীভাবে স্থগিত করে ৩১ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এ কর্মকর্তারা কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ইউনিভার্সিটি অব নটিংহাম মালয়েশিয়া ক্যাম্পাসে মার্স্টাস অব এডুকেশন কোর্সের প্রথম সেমিস্টারে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রশিক্ষণের মাস্টার ট্রেইনার কোহর্ট-২ এ প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টিউটরদের সহযোগিতায় দুটি মৌলিক অ্যাসানইনমেন্ট তৈরি করে দাখিল করার শর্ত ছিল। প্রশিক্ষণ নিতে যাওয়া কয়েকজন শিক্ষক তা করতে ব্যর্থ হন এবং কয়েকজন অসদুপায় অবলম্বন করেন। এর ফলে পুরো শিক্ষা ক্যাডারের বদনাম কুড়াতে হচ্ছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়।
 
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্যে সবাই না, তবে ভাল একটি অংশ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন শিক্ষা সেমিনারে অংশ নেন, জার্নালে লেখালেখি করেন, টুকটাক গবেষণা করার চেষ্টা করেন বা কেউ কেউ দেশ-বিদেশে ঘোরাঘুরি করেন। এসব কারণে তারা শিক্ষার একটি পর্যায়ে চলে যান। তবে অনেকের অনেক ক্ষেত্রে বেশ গ্যাপ থেকে যায়, কারণ তারা পড়াশোনা বাদ দিয়ে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্লাস করতে হবে এমন নয়। ধরে নেওয়া হয়,  প্রশিক্ষণে যা যা করানো হয় সেগুলো তাদের মেধা ও পড়াশোনার বদৌলতে নিজেরাই আয়ত্ত করে ফেলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক একজন শিক্ষক এক একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন কারণে এই ধারণাটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে আর টিকছে না।তাই শোনা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্যও প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হবে।তবে সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।কিন্তু  ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ কলেজ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো পেশাগত উন্নয়ন ঘটে না।তাদের প্রমোশনের ক্ষেত্রে মূলত সার্ভিসের সময়কাল, বিষয় ও কিছুটা লবিং বিবেচিত হয়। বিশ্ববিদ্যায়েও লবিং রয়েছে, তারপরেও পাবলিকেশনের একটি বিষয় আছে যা কিছুো হলেও পেশাগত উন্নয়ন ঘটায়। কলেজ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে পাবলিকেশনের কোন বালাই নেই। তাদের কেউ কেউ প্রাইভেট টিউশনি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন যা পেশাগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক বিরাট অন্তরায়। আর একদল থাকেন যারা শিক্ষাদান নয় বরং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদ বাগানোর জন্য বিভিন্ন টেকনিক, পদ্ধতি, তদবীর ও লবিং  নিয়ে ব্যস্ত।শিক্ষাবোর্ড, শিক্ষা অধিদপ্তর, ডিআইএ, এনসিটিবি ইত্যাদি জায়গায় পদায়নের জন্য ধরা-করা করতে থাকেন।লেখাপড়ায় বা পড়ানোয় তাদের আগ্রহ কম। একবার এসব জায়গায় চেয়ার বাগাতে পারলে আর নড়তে চান না, কারণ পড়াশোনা করতে হবে না, পড়াতে হবে না, বই-পুস্তক নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির কোন প্রয়োজন হবে না। শুধু ছড়ি ঘোরাতে পারবেন, শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দহরম-মহরম গড়তে পারবেন এখানে থেকে।তাই দেখা যায়, শিক্ষা প্রশাসনে একবার যারা ঢুকেছেন তারা আর সহজে এসব জায়গা ছাড়েন না। বিভিন্ন কলা-কৌশল করে ঐসব চেয়ারই ধরে রাখেন।তবে এখানেও ব্যতিক্রম আছেন। শিক্ষা বিষয়ে অনেক ম্যাটেরিয়ালস পাওয়া যায়, বিভিন্ন সূত্র থেকে সেগুলো তারা পড়েন।সংবাদপত্র তো এখন আর শুধু সংবাদ বহন করে না, অধিকাংশ সংবাদপত্র শিক্ষা বিষয়ক প্রবন্ধ, নিবন্ধ এবং গবেষণামূলক লেখা প্রকাশ করে থাকে।সেগুলোর মধ্যে অনেক কিছুই প্রশিক্ষণের সহায়ক এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে কাজ করে।শিক্ষকদের স্বশিক্ষিত হওয়া শেখায়।কিন্তু দেখা যায়, অনেক শিক্ষকই তাচিছল্যভরে বলে থাকেন, পেপার এই যুগে মানুষ পড়ে নাকি। পড়লেও তারা হয়তো একটি বা দুটি সংবাদপত্রের নাম বলেন যেখানে শিক্ষার চেয়ে রাজনীতি বিষয়ে লেখা বেশি থাকে। তারা সে রকম একটি বা দুটি মাঝে মাঝে দেখেন। শিক্ষা বিষয়ক কোন লেখা নিয়ে তাদের খুব একটা জানাশোনা কিংবা পরিচয় নেই।
 
কলেজ শিক্ষকরা ক্লাসরুমে প্রবেশের আগে যদি প্রশিক্ষণ না পান তার মানে হচ্ছে তারা কিন্তু একজন শিক্ষার্থী হিসেবেই ক্লাসরুমে ঢোকেন, যদিও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিভাবে আচরণ করতে হবে, কি হবে তাদের মধ্যে সম্পর্ক, কিভাবে কাকে ডিল করতে হবে, কিভাবে কোন বিষয় পড়াতে হবে ইত্যাদি বিষয় কিন্তু তাদের অজানা থেকে যায় যা প্রশিক্ষণে বলা হয়।
 
আমরা যারা ক্যাডেট কলেজে শিক্ষকতা করেছি, আমার মনে আছে যোগদান করার পর পরই আমাদের দুটি জায়গায় প্রশিক্ষণ হয়েছিল। বড় প্রশিক্ষণটি হয়েছিল ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে।শিক্ষার্থীদের একত্রে কেন ডাইনিং হলে খেতে হয়, একত্রে মসজিদে নামাজ আদায় করতে হয়, কেন প্রতিদিন সকালে প্যারেড পিটি করতে হয়, প্রতিদিন বিকেলে কেন মাঠে খেলতে হয় কেন বাৎসরিক একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করতে হয়, কিভাবে ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়,  কেন শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে আসা চিঠিপত্র হাউস টিউটররা আগে পড়েন এবং পরে শিক্ষার্থীদের হাতে দেন এসব বিষয় প্রশিক্ষণ ছাড়া তো জানা যায় না।সরকারি কলেজ শিক্ষকদের একটি বুনিয়াদি কোর্স সম্পন্ন করতে হয়, এটি ভাল। কিন্তু এখানে তো বিশাল জট লেগে আছে। হাজার হাজার শিক্ষক এই বুনিয়াদি কোর্স ছাড়াই বছরের পর বছর শিক্ষকতা করছেন। আর বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের জন্য তো এ ধরনের কোন ব্যবস্থাই নেই, যদিও বেসরকারি পর্যায়েই সিংহভাগ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। শিক্ষা বিভাগের এ জন্য কোন প্ল্যান-প্রোগ্রাম কখনও টের পাইনি, এখনতো প্রশ্নই আসে না। 
 
প্ল্যাজারিজম বা চুরির অপরাধে দণ্ড পেলে ক্যাডারের সম্মান থাকে না।  অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নিয়েছেন শিক্ষকরা যা একাডেমিক অফেন্স বলে গণ্য করেছে ইউনিভার্সিটি অব নটিংহাম, মালয়েশিয়া।কেউ কেউ কোর্স অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেননি ও কোর্সের প্রথম সেমিস্টারে অকৃতকার্য হয়েছেন। তাই তাদের কোর্স থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের অদক্ষতা ও অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পরে তাদের শোকজ করা হলে তারা ব্যক্তিগত শুনানি চেয়ে আবেদন করেছেন। তাদের শুনানিতে তারা অভিযোগের বিষয়ে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরে অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্তেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে দুই বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই ধরনের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করে একটি ভাল উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিদেশের মাটিতে, বিদেশি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের এমন কাণ্ড সত্যিই শিক্ষা বিভাগকে কলুষিত করেছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। আমরা সকল ধরনের শিক্ষকদের সমাজের অনেক উঁচু স্থানে দেখতে চাই।
 
লেখক: ব্রাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত, সভাপতি ইট্যাব । 
হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037851333618164