বিনামূল্যের বই বিক্রি করা যাবে যেভাবে - দৈনিকশিক্ষা

বিনামূল্যের বই বিক্রি করা যাবে যেভাবে

মনজুর ইলাহী |

আগের বছরের বিনামূল্যে পাঠ্যবই নিয়ে বিপাকে থাকেন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকরা। মজুদ রাখা পুরনো পাঠ্যবইয়ের কারণে নতুন বই প্রতিষ্ঠানে রাখার জায়গা পাওয়া যায় না। আবার বিনামূল্যের বই বিক্রি করলে তা অবৈধভাবে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে। তাই শিক্ষাবর্ষের শেষাংশে এসে অনেক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষক পুরনো পাঠ্যবই নিয়ে বেকায়দায় পড়েন।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে পাঁচ বছরের পুরনো পাঠ্যবই জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা যাবে। এক্ষেত্রে বইয়ের সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করতে হবে প্রতি কেজি ১০ টাকা। অপ্রয়োজনীয় পাঠ্যবই স্থানীয় লাইব্রেরি ও শিক্ষকদের দেয়া যাবে। জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছে মন্ত্রণালয়। 

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এসব বিষয় জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আক্তার উননেছা শিউলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিনামূল্যের বই বিক্রির বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত অবিতরণকৃত ও অপ্রয়োজনীয় মজুদ পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি বা বিক্রির অযোগ্য বই নষ্ট করা যাবে। এ কাজ অনধিক পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। এ কমিটিতে জেলা ও থানা পর্যায়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) আহ্বায়ক ও জেলা শিক্ষা অফিসার সদস্য সচিব এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহ্বায়ক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। 

চিঠিতে বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ এবং অবিতরণকৃত ও অপ্রয়োজনীয় মজুদ পাঠ্যপুস্তকের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালকের সমন্বয়ে তিন সদস্যের সেল গঠন করতে বলেছে মন্ত্রণালয়। এ সেল প্রতি বছর পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শেষে বিতরণকৃত ও অবিতরণকৃত মজুদ পাঠ্যপুস্তক বিষয়ে প্রতিবেদন অধিদপ্তরের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। প্রতি বছর বই বিতরণ শেষে অধিদপ্তর উদ্বৃত্ত ও অপ্রয়োজনীয় পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা বা পরিমাণ নিরূপন করে বিক্রির কার্যক্রম নেবে।

মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি - dainik shiksha মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! - dainik shiksha খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ - dainik shiksha এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0059261322021484