বৃত্তির টাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভারতে বিপাকে পড়েছেন ২১ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। টাকার জন্য সংকটে পড়েছে তাদের শিক্ষাজীবন। ভারত ও বাংলাদেশে বারবার যোগাযোগ করেও তারা কোনো সহায়তা পাননি।
এদিকে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন (আইসিসিআর) থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যয় তারা আর বহন করতে পারবেনা ।এদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করায় বৃত্তি পেয়ে ভারতে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন। মাসে তাদের ১০ হাজার ৫০০ রুপি পাওয়ার কথা ছিল বৃত্তি বাবদ। কিন্তু পাচ্ছেন পাঁচ হাজার রুপি। বৃত্তির টাকা অর্ধেকের বেশি না পাওয়ায় থাকা-খাওয়ার ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে জানিয়েছে মেঘালয়ের আচারিয়া ইনস্টিটিউট অব গ্র্যাজুয়েটের ২১ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।
ভারতের মেঘালয় থেকে আরেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জানান, গত বছর আইসিসিআর বৃত্তি পেয়ে ভারতে পড়তে যান। ভর্তি হন ব্যাঙ্গালুরুর আচারিয়া ইনস্টিটিউট অব গ্র্যাজুয়েটের শিলং ক্যাম্পাসে। তিনিসহ ২১ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হন। ইনস্টিটিউটের ছাত্রাবাসে তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। বৃত্তির পাঁচ হাজার ৫০০ রুপি ছাত্রাবাসে থাকা-খাওয়া বাবদ কেটে নেয়া হতো। বাকি পাঁচ হাজার রুপি নগদ দেয়া হতো।
শিক্ষার্থীদের ভারতীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ে বেশি অভিযোগ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতি। তারা জানান, গত ছয় মাসে বহুবার যোগাযোগ করেও কোনো ধরনের সহায়তা পাননি তারা। এমনকি তাদের অভিযোগের জবাবে সাড়া দেয়নি। তারা আরো জানান, গত নভেম্বর থেকে দিল্লিতে বাংলাদেশি হাইকমিশনার ও কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা।