বিবস্ত্র অবস্থায় এক নারীর জুতাপেটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন আওয়াম লীগ সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে শিক্ষক শাহ আলম জাকিরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শনিবার বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শাহ আলম জাকিরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করে বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ ওলি উল্লাহ ওলি।
জানা গেছে, শাহ আলম ১০নং নলটোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাবুগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ ওলি উল্লাহ ওলি শনিবার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, নলটোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জাকিরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর আমরা বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার বৈঠক করি। ওই বৈঠকে জাকিরকে কারণ ‘দর্শাণোর নোটিশ’ ও বিষয়টি তদন্তে পাঁচ সদস্যর ‘তদন্ত কমিটি’ গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার পর শনিবার আমরা দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করেছি। বৈঠকে বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ র্শীষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কারণ দর্শানোর জবাব ও তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আমরা শাহ আলম জাকিরকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য জেলা ও কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।
বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে সার্বিকভাবে মনে করেছি দলের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে নলটোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জাকিরকে বহিষ্কার করা জরুরি। সে মোতাবেক বৈঠকে আমার তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ বিষয়ে সদ্য বহিস্কৃত নলটোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জাকির বলেন, আমি স্থানীয় অপঃরাজনীতি ও ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়ে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করা হয়েছে। পাঁচ লাখ টাকা চাদা না দেয়ায় আমাকে ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ধারণকরা ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আমি আদালতে মামলা করেছি। মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হবো।
জানা গেছে, বরগুনা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা শিক্ষককে বিবস্ত্র অবস্থায় জুতাপেটার ঘটনায় নারীসহ ৪ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। সে মামলা তদন্তে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।