বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ পদ্ধতি : সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক বৈষম্য-১ - দৈনিকশিক্ষা

বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ পদ্ধতি : সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক বৈষম্য-১

মো. ইব্রাহীম রেজা |
বাংলাদেশে বিভিন্ন পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। সব শিক্ষাব্যবস্থাতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি ও বেসরকারি দুটি ভাগে বিভক্ত। আর্থিক, অবকাঠামোগত ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক সুবিধাসহ সব ক্ষেত্রেই সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ বড়ধরনের ফারাক দেখা যায়।এ বৈষম্য শুধু শিক্ষার গুণগত মান, অবকাঠামোগত ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক সুবিধা এবং আর্থিক ক্ষেত্রেই নয়, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুবিশাল আইনি বৈষম্যও রয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন ও সংবাদ মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান, অবকাঠামোগত ও পারিপার্শ্বিক সুবিধা এবং আর্থিক ক্ষেত্রে বৈষম্যের নিয়ে হরহামেশাই লেখালেখি হয়। বাস্তবতায় রূপ পাক বা না পাক, বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন ও সংবাদ মাধ্যমে এসব বিষয়ে যৌক্তিক বা অযৌক্তিক, বাস্তবসম্মত বা অবাস্তবপ্রসূত বিভিন্ন ধরনের সংস্কারের দাবিতে অনেককেই সোচ্চার হতে দেখা যায়। দুই শ্রেণির প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সুবিধার এ অসঙ্গতি নিয়ে ছাত্র আন্দোলন না হলেও বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক আন্দোলন গড়ে উঠেছে। কিন্তু আইনি বৈষম্যের বিষয়টি সচরাচর আলোচনায় আসে না। তাই আইনি বৈষম্যগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় সকলের গোচরে আনার দরকার মনে করছি। যেহেতু আমি একজন কলেজ শিক্ষক, তাই আমি কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার কিছু আইনি বৈষম্য তুলে ধরার পাশাপশি স্কুলপর্যায়সহ সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অসঙ্গতি তুলে ধরার চেষ্টা করব।
 
বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ পদ্ধতি : কলেজ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত তিন ভাগে বিভক্ত। ডিগ্রি কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক শাখা। স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ বর্তমানে এনটিআরসিএ-এর সুপারিশ অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করে থাকে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো সরকার এখানে সরাসরি নিয়োগ দেয় না। প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধানসহ অন্যান্য অফিস স্টাফের নিয়োগ এখনও ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির হাতেই পুরোপুরিভাবে ন্যস্ত। বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের জন্যও এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ পদ্ধতি এবং বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের পৃথক আইন-কানুন। সরকারি কলেজের মতো বিভিন্ন সরকারি বিধি-বিধানের চর্চাও এখানে সচরাচর হয় না। অবশ্য একেবারেই হয় না বলাটাও  ঠিক হবে না। কারণ কোন শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আবার এসব বিধি-বিধানের চর্চা শুরু হয় সরকারি কর্মচারীদের চেয়েও কঠোরভাবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো আর্থিক ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি এখানে না থাকলেও রয়েছে আইন-কানুনের ছড়াছড়ি। 
 
প্রাপ্তিতে পার্থক্য : সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্তিতে কিছু ফারাক তুলে ধরছি। (ক) বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষাসহায়ক ভাতা, উৎসব ভাতা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা, পিআরএল সুবিধা ও বিভিন্ন প্রকার ছুটির সুবিধাসহ নানা ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্তিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের সাথে ব্যাপক ফারাক রয়েছে। তবে কর কিন্তু প্রদান করতে হয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মতোই একই মূল বেতনের হারে। (খ) সরকারি কর্মচারীদের অবসর সুবিধা ও মাসিক পেনসনের জন্য কোনও চাঁদা প্রদান করতে হয় না। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অবসর সুবিধা দেয়া হয় মূল বেতনের নির্দিষ্ট হারে চাঁদার বিপরীতে। অবসর ও কল্যাণ সুবিধার জন্য অতীতে মূল বেতনের মোট ৬ শতাংশ কর্তন করা হলেও কোনও অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান ছাড়াই বর্তমানে কেটে নেয়া হচ্ছে মূল বেতনের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ। (গ) সরকারি চাকরিজীবীদের কোনও চাঁদা ছাড়াই অবসর সুবিধার জন্য ন্যূনতম পাঁচ বছর চাকরির প্রয়োজন হলেও, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিজেদের প্রদানকৃত চাঁদার বিপরীতেও প্রয়োজন হয় ন্যূনতম দশ বছর চাকরির। (ঘ) সরকারি চাকরিতে কোনও চাঁদা ছাড়াই পূর্ণ অবসর সুবিধার জন্য ন্যূনতম ২০ বছর চাকরির প্রয়োজন হলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিজেদের প্রদানকৃত চাঁদার বিপরীতেও প্রয়োজন হয় ন্যূনতম পঁচিশ বছর চাকরির।(ঙ) সরকারি চাকরিতে কোনও কর্মচারীর যে কোনও সময় স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার সুবিধা আছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সুযোগ নেই। মৃত্যু বা শারীরিক অক্ষমতা ছাড়া কোনও শিক্ষক-কর্মচারীর এখানে স্বেচ্ছা অবসরের সুযোগও নেই। নিয়মিত চাঁদা প্রদানের পরও যে কোনও সময় কেউ স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়লে পান না কোনও অবসর ও কল্যাণ সুবিধা। অর্থাৎ অনিচ্ছা সত্ত্বেও এখানে চাকরি করতে পরোক্ষভাবে বাধ্য করা হয়, যা সরকারি কোনও চাকরিতে করা হয় না। (চ) অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর কাছ থেকেই চাঁদা কেটে নেয়া হয় ৩০ থেকে ৩৫ বছর যাবৎ, কিন্তু অবসর সুবিধা প্রদান করা হয় সর্বোচ্চ ২৫ বছরের হিসাবে। (ছ) সরকারি চাকরিতে থাকাকালে কোনও কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে ক্ষেত্রবিশেষে পাওয়া যায় পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকার অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা, এখানে নেই দশ পয়সার সুবিধাও। (জ) কোনও চাঁদা প্রদান না করে কোনও সরকারি কর্মচারী অবসরের মাস দুয়েকের মধ্যেই তাঁর সমুদয় অবসর সুবিধা বুঝে পেলেও নিয়মিত চাঁদা প্রদান করেও নিজের জমানো টাকা পেতে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের লাগে চার থেকে পাঁচ বছর। অনেকেই জীবিত থাকতে পান না এই টাকা। (ঝ) সরকারি চাকরিতে বদলির সুবিধা থাকলেও, বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের নেই কোনও বদলির সুবিধা। (ঞ)  সরকারি চাকরিতে সব কর্মচারীর জন্য যৌথ বীমার সুবিধা থাকলেও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের নেই সেই সুবিধাও। (ট)সরকারি চাকরিতে অবসরের পর নিজের ও তাঁর মৃত্যুর পর স্বামী বা স্ত্রীর, এমনকী কোনও প্রতিবন্ধী সন্তান থাকলে তাঁর জন্যও আজীবন মাসিক পেনশনের সুযোগ থাকে। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এক দিনের জন্যও পেনশন সুবিধা নেই।(ঠ)  সরকারি চাকরিতে কোনও কর্মচারী অবসরের এক বছর আগে থেকেই পিআরএল-এর সুবিধা পেলেও বেসরকারি কোনও শিক্ষক-কর্মচারী পিআরএল ভোগ করতে পারেন না এক দিনও, কাজ করতে হয় চাকরির শেষদিন অবধি (ড) সরকারি চাকরিতে পিআরএল-এ যাওয়ার পর পরই তাঁর জমাকৃত অর্জিত ছুটির বিপরীতে কোনও সরকারি কর্মচারী পেয়ে থাকেন আঠারো মাসের মূল বেতনের সম পরিমাণ টাকা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা পান না আঠারো দিনের বেতনও।  
 
আইন প্রয়োগে ভিন্নতা : বেসরকারি শিক্ষকদের বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র এখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের চেয়ে কম নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রেই বেশি। প্রাপ্তি কম হলেও সরকারি বিধি-বিধানের বাইরেও রয়েছে বেশ কিছু অতিরিক্ত আইন, বিধি-বিধান, যা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই। রাষ্ট্রের সবকিছুই সুনির্দিষ্ট আইনে চললেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চলে প্রজ্ঞাপন, পরিপত্র ইত্যাদি নির্বাহী আদেশ দ্বারা। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এসব নির্বাহী আদেশ কোনও আইন নয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রণয়ন করা হয় না কোনও আইনও। কাজী ফারুক বনাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলার অবজারভেশনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ন অবধি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিএসআর প্রযোজ্য হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করলেও, কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর এসব বৈষম্য চলমান রাখতে পালন করা হয় না সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনাও। সরকারি স্কুল শিক্ষক থেকে সিলেকশন গ্রেড পেয়ে ষষ্ঠ গ্রেডে আসা উপপরিচালকের কথা বাদই দিলাম, চতুর্থ গ্রেডের ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের ওপর খবরদারি করতে আসেন প্রজেক্টে অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত হয়ে রাজস্ব খাতে আসা নবম গ্রেডের নন গেজেটেড কর্মকর্তা সাবেক টিপিও পদবী থেকে সরকারের কৃপায় পদবী বদলানো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারও। পদের নাম মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হলেও, নানা বিষয়ে কর্তৃত্ব চলে ডিগ্রি কলেজের ওপরও। বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের ওপর চলে এমন হাজারো মানসিক নির্যাতন।
 
পরস্পর সাংঘর্ষিক বিধান : বেসরকারি কলেজগুলো সাধারণত এমপিও নীতিমালা, শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগুলেশন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। বেসরকারি স্কুল এন্ড কলেজ এবং উচ্চ মাধ্যমিক কলেজগুলো এমপিও নীতিমালা ও শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধান এবং ডিগ্রি কলেজগুলো এমপিও নীতিমালা, শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগুলেশন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। স্কুল এন্ড কলেজ ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজগুলোর জন্য প্রযোজ্য এমপিও নীতিমালা, শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধানের মধ্যে অনেকটাই মিল থাকলেও এসবের সাথে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগুলেশনের রয়েছে ব্যাপক অসঙ্গতি, অনেক ক্ষেত্রেই রয়েছে পরস্পর সাংঘর্ষিক বিধান। রেগুলেশনের বিভিন্ন অনুচ্ছেদের মধ্যেও রয়েছে অসঙ্গতি, পরস্পর সাংঘর্ষিক বিধান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি সংক্রান্ত রেগুলেশন-এর অনুচ্ছেদ ১১(ক) অনুযায়ী অধিভুক্তির জন্য আবেদনকারী কলেজের পার্শ্ববর্তী এলাকায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম পক্ষে দুটি হওয়ার কথা থাকলেও স্কুল এন্ড কলেজগুলো (সেনা নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত না হলেও বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় এমপিওভুক্ত হয়েছে এমন কলেজ খুঁজে পাওয়া কঠিন, যেগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নয়। এসব কলেজের অধিকাংশেই রয়েছে অনার্স কোর্সও। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি সংক্রান্ত রেগুলেশনের অনুচ্ছেদ ১১(খ) এবং ১১(গ) অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির অধিভুক্তির মেয়াদ কমপক্ষে ৩ বছর, সার্বিক ফলাফল সন্তোষজনক(ন্যূনতম ৬০শতাংশ), বোর্ডের শেষ দুই বছরের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা নির্দিষ্ট করা এবং অনুচ্ছেদ ১ এবং ১১(ছ) অনুযায়ী তিন বছরের ফলাফল বিশ্লেষণের বিধান থাকলেও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরই নেই রয়েছে এমন ডিগ্রি কলেজও।এই রেগুলেশনের অনুচ্ছেদ ৩(খ) ও অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক স্তর এমপিওভুক্তির পূর্বে ডিগ্রি পর্যায়ে অধিভুক্তির আবেদন করতে না পারলেও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর এমপিওভুক্ত নয় এমন কলেজেও রয়েছে স্নাতক (পাস), এমনকী অনার্স কোর্সও। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি সংক্রান্ত রেগুলেশনের অনুচ্ছেদ ১১(ছ) উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে যেসব বিষয় নেই এমন কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে যেসব বিষয়ের অনুমোদন নেই সেসব বিষয়ে স্নাতক বা অনার্স কোর্সের অনুমোদন দেয়ার বিধান না থাকলেও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বোর্ডের অনুমোদিত বিষয় থাকার সুযোগ আছে, অথচ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কলেজটিতে বিষয়টির অনুমোদন নেই এমন বিষয়েও রয়েছে স্নাতক (পাস) ও স্নাতক (সম্মান) কোর্স, এমনকি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরই নেই রয়েছে এমন ডিগ্রি কলেজও। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় অবধি এমপিওভুক্ত, কিন্তু স্নাতক স্তর এমপিওভুক্ত নয় এমনতর সব কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি অনুযায়ী পরিচালিত হলেও স্নাতক স্তর এমপিওভুক্ত নয়, এমন সব কলেজকে সরকার বিবেচনা করে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে। ফলে কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক, না স্নাতক পর্যায়ের কলেজ, এ নিয়েও রয়েছে সরকার ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরস্পর সাংঘর্ষিক বক্তব্য। 
 
লেখক : মো. ইব্রাহীম রেজা, সহকারী অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান, বদিউল আলম কলেজ, কোম্পানীগঞ্জ, মুরাদনগর, কুমিল্লা
 
ধারাবাহিক লেখাগুলো দৈনিক আমাদের বার্তায় প্রকাশিত হচ্ছে। 
নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0057618618011475