বিশেষ পদ্ধতিতে জুনেই এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে : এন আই খান - দৈনিকশিক্ষা

বিশেষ পদ্ধতিতে জুনেই এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে : এন আই খান

নিজস্ব প্রতিবেদনক |

প্রয়োজনে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে, এমনকি লকডাউন কিছুটা শিথিল করে হলেও আসছে জুন মাসেই এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। অনির্দিষ্টকাল ধরে লকডাউনে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা একটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে। এই অচলাবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আগামী জুনের মাঝামাঝি এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। সে লক্ষ্যে এখুনি একটা তারিখ নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এমন মতামত দিয়েছেন সাবেক শিক্ষা সচিব, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর ও দৈনিক শিক্ষাডটকমের প্রধান উপদেষ্টা মো. নজরুল ইসলাম খান। 

রোববার (১৭ মে) দৈনিক শিক্ষার নিয়মিত আয়োজন দুপুর বারোটার ফেসবুক লাইভে অংশ নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজর আলী বলেন, এপ্রিলে পরীক্ষা ছিলো। হয়নি। মে যাচ্ছে জুনেও যদি না হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন পিছিয়ে যাবে। তাই বিশেষ ব্যবস্থায় জুন মাসেই এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ ফজর আলী। অধ্যক্ষের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করে এন আই খান বলেন, শিক্ষার্থীদের ফাঁকা ফাঁকা বেঞ্চে বা  দূরত্ব বজায় রেখে বসিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা কেন্দ্র দ্বিগুণ অথবা তিনগুণ করার পরামর্শ দেন তিনি। 

দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত লাইভে এন আই খান আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় গণপরিবহন সীমিত আকারে চালু করে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যেতে পারে।

অধ্যক্ষ মো. ফজর আলীর সাথে একমত পোষণ করে এন আই খান বলেন, ‘অধ্যক্ষদের উচিত শিক্ষার্থীদের সাথে মতামত বিনিময় করে তাদের নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। এজন্য শিক্ষার্থীদের তার নিকটবর্তী যে কোনো তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই করার সুযোগ দেয়া যেতে পারে।

এন আই খান বলেন, কোনো একটি সেবার ভালো-খারাপ নির্ধারণের প্রধান শর্ত হচ্ছে তার ‘প্রিডিক্টিব্যালিটি’। এইচএসসি পরীক্ষা বোর্ডের একটি সেবা। ফলে ‘প্রিডিক্ট’ করতে হবে কখন, কীভাবে পরীক্ষা নেয়া যায়। লকডাউনে ক্লাস করা একটা সমস্যা হতে পারে। কারণ ক্লাস অনেক ‘কনজাস্টেড’। কিন্তু পরীক্ষা ‘স্প্রেড’ করে নেয়া যেতে পারে।

তিনি বলেন, একটা প্রবাদ আছে, ‘শুভস্র শীঘ্রম, অশুভস্য কালাহারানাং’। পরীক্ষা একটা শুভ কাজ। এতে করে শিক্ষার্থীরা উপরের ক্লাসে উঠতে পারবে। ফলে পরীক্ষা নিয়ে সময় ক্ষেপণ করার কোনো মানে হয় না। আমরা যদি সো কলড স্যোশাল ডিস্টেন্স বা সামাজিক দূরত্ব, যেটাকে আমি আন্তঃব্যক্তিক দূরত্ব বলি; সেই দূরত্ব রাখা সম্ভব হলে খুব সহজেই পরীক্ষা নেয়া যাবে। এই করোনাকালীন পরিস্থিতিতে এর চেয়ে ভালো উপায় আর হবে না।

এন আই খান আরও বলেন, লকডাউন কবে শেষ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমরা এই পরিস্থিতি অনির্দিষ্টকাল চলতে দিতে পারি না, আমাদের একটা জায়গায় গিয়ে থামতে হবে। যখন লকডাউন শুরু হয়েছিল তখুনি আমাদের বলা দরকার ছিল কবে, কয় মাস পরে হবে পরীক্ষা। ফলে অবশ্যই লকডাউন শিথিল করে পরীক্ষা নেয়া উচিত।

সাবেক শিক্ষাসচিব আরো বলেন, ভবিষ্যতে পরীক্ষা আরও সংক্ষিপ্ত করা যেতে পারে। ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ‘কন্টিনিউয়াস এসেসমেন্ট’ বা ধারাবাহিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে একটা নম্বর, ক্লাস বেসড বা ফাইনাল পরীক্ষা নিয়ে একটা নম্বর দেয়া যেতে পারে। উন্নত দেশগুলোতেও সরকারের পক্ষ থেকে একটা পরীক্ষা নেয়া হয়। অনেকের ধারণা বিদেশে পরীক্ষা হয় না, এটা ভুল ধারণা। পৃথিবীর সবেচেয়ে সেরা শিক্ষাব্যবস্থা হচ্ছে ফিনল্যান্ডে। ফিনল্যান্ডের ক্লাস এইটে ৮৪টা পরীক্ষা দিতে হয়। আমি কিছুদিন আগেও খোঁজ নিয়ে দেখেছি, চাইলে আপনারা যাচাই করতে পারেন। ডাক্তার যদি এক্সামিন না করে রোগী আগাচ্ছে না পিছাচ্ছে সেটা বুঝবে কি করে?

আমাদের স্বাভাবিক শিক্ষাব্যবস্থার একটা বড় সমস্যা হচ্ছে ফিডব্যাক দেয়া যায় না। কোথায় দুর্বল ফিডব্যাক দেয়া হচ্ছে না। আমাদের ধারাবাহিক মূল্যায়নে যাওয়ার একটা সুযোগ এসেছে। এই করোনাকালে আমাদের ধারাবাহিক মূল্যায়নে যেতে হবে। সেজন্য ক্লাসে যাওয়ার দরকার নেই, ফেসবুকে বসে থাকার দরকার নেই। এসাইনমেন্ট দিয়েও করা সম্ভব বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034170150756836