সরকারি সুবিধাপ্রাপ্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের জন্য নির্মিত ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেনে সুইড ল্যাবরেটরি মডেল স্কুল উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে। সুইড বাংলাদেশ নামে একটি এনজিও’র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করা হয়েছে। স্কুলের তালা ভেঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাইরে ফেলে নিজেদের মতো তালা লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
স্কুল থেকে জানানো হয়েছে, ২০০৯ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের অধিনে সরকারি জমিতে একটি ৬ তলা ভিত্তির উপরে ২য় তলা ভবনে বিশেষ শিশুদের জন্য সুইড ল্যাবরেটরি মডেল স্কুল গড়ে ওঠে। স্নায়ুবিকাশ জনিত সমস্যাগ্রস্থ বিশেষ শিশুদের প্রয়োজনীয় যত্ন, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ, বৃত্তিমূলক-প্রশিক্ষণ ও পূনর্বাসন ইত্যাদির মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রায় স্বনির্ভর নাগরিক হিসেবে সমাজে পূনর্বাসন কার্যক্রম চলছে। এ স্কুলে ১৬৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য ২৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের অধীনে সরকারি বেতনভূক্ত ও ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বর্তমানে সুইড বাংলাদেশ নামে একটি এনজিও’র কর্মকর্তা স্কুল শিক্ষকদের নানা প্রলোভন, ভয়-ভীতি ও চাপসৃষ্টি করে জাতীয় প্রতিবন্ধি উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে লিখিত দিয়ে সরকারের আওতায় না থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন। তাদের সুইডের আজ্ঞাবহ হিসেবে থাকতে বলা হচ্ছে। লিখিত না দিলে সকলের চাকরিচ্যুত করার ভয় দেখানো হচ্ছে।
শিক্ষকরা জানান, স্কুলের জিনিসপত্র ফেলে তালা লাগিয়ে দেয়ায় অভিভাবক ও শিক্ষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। প্রতিদিন তারা স্কুল গেটের বাইরে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুইড ল্যাবরেটরি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল করিম রোকনী বলেন, ‘ভবন ও জমি সরকারি হলেও সুইড বাংলাদেশ এনজিও এই জমি তাদের নামে লিজ নেয়া বলে গত ১২ ফেব্রুয়ারি স্কুলের শ্রেণি কক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিয়ে, ফোন, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। বর্তমানে আমরা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন, বিভাগীয় কমিশনার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন থেকে তদন্ত করতে আসার কথা রয়েছে।’
তবে এ অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত এনজিও’র কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা কিছু বলতে রাজি হননি।